বিস্ফোরক হাতে অনায়াসেই লালকেল্লায় ঢুকে পড়ল জঙ্গি!
নিরাপত্তাকর্মীরা কেউই তাঁকে আটকাতে পারেননি। গত কয়েক দিনের মধ্যে এটি তৃতীয় বড়ো নিরাপত্তা ত্রুটি, যা মহড়ার সময় ধরা পড়ল।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:০১: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) আগে লালকেল্লায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার মহড়ায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের এক “ডামি জঙ্গি” নকল বিস্ফোরক হাতে প্রায় অনায়াসেই ঢুকে পড়ল লালকেল্লার শিশুদের জন্য নির্ধারিত আসন এলাকায়। নিরাপত্তাকর্মীরা কেউই তাঁকে আটকাতে পারেননি। গত কয়েক দিনের মধ্যে এটি তৃতীয় বড়ো নিরাপত্তা ত্রুটি, যা মহড়ার সময় ধরা পড়ল।
সূত্র জানিয়েছে, ওই ডামি অভিযুক্ত লালকেল্লার ভিতরে ঢুকে সেলফি তো তুলেছেনই, এমনকি ভিডিও রেকর্ড করে নিরাপত্তা কর্মীদের মাঝেও ঘুরে বেড়িয়েছেন। পরে তিনি অনায়াসে বেরিয়ে যান। এই ঘটনার পরই স্পেশাল সেল সদর দফতরে ছবি ও ভিডিও পাঠায় এবং প্রোটোকল মেনে প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা ইউনিটকেও জানানো হয়।
দিল্লি পুলিশের উত্তর জেলার ডেপুটি কমিশনার রাজা বান্থিয়া জানিয়েছেন, এই ধরনের মহড়া নিয়মিত হয় এবং এর উদ্দেশ্যই হচ্ছে সম্ভাব্য দুর্বলতা খুঁজে বের করা। “আমরা বহু সফল মহড়া করেছি যেখানে ডামি অভিযুক্তদের ধরা হয়েছে,” বলেন তিনি।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত অন্তত ১৫টি মহড়া সফল হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—স্পেশাল ব্রাঞ্চের তিনটি নাশকতা রোধের মহড়া, দুটি ডামি অনুপ্রবেশ মহড়া, স্থানীয় ভিজিল্যান্স ব্রাঞ্চের নয়টি ডামি অনুপ্রবেশ প্রচেষ্টা, এবং স্পেশাল সেলের একটি নাশকতা রোধ মহড়া—সবেতেই সন্দেহভাজনদের ধরা গেছে।
তবে এইদিনের ঘটনাটি ছিল ভিন্ন। সন্ধ্যায় নিশাদ রাজ রোডের কাছে পেট্রোল পাম্পের পাশ দিয়ে প্রাচীর টপকে ঢোকেন ওই ব্যক্তি। তিনি উচ্চ নিরাপত্তা জোনে প্রবেশ করে কিছুক্ষণ ধরে এলাকা ঘুরে দেখেন এবং পরে চলে যান।
এ ঘটনার পরও রবিবার পর্যন্ত কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে এর আগে, গত সপ্তাহে, পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে অবৈধভাবে লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকায় বসবাস ও দুইটি তাজা কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
এই ঘটনার জেরে স্বাধীনতা দিবসের আগে লালকেল্লার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও পুলিশ বলছে, এই ধরনের মহড়াই আসল নিরাপত্তা জোরদারের জন্য জরুরি, কিন্তু পরপর তিনবার এই ধরনের ফাঁকফোকর ধরা পড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।