তালিবানি শাসনে খুশি রাশিয়া

১৯৮৯ সালে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত প্রশাসন।

August 17, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ক্ষমতা অধিগ্রহণের পর প্রথম ২৪ ঘণ্টায় তালিবান শাসনে সন্তুষ্ট রাশিয়া (Russia)। তাদের দাবি, বিগত প্রশাসনের তুলনায় প্রথম ২৪ ঘণ্টায় কাবুলকে নিরাপদ করেছে তালিবানরা (Taliban)। জানিয়েছেন, ঘানি প্রশাসনের থেকে অনেকাংশে ভালো তালিবানরা। আফগানিস্তানে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত তালিবানদের প্রশংসা করে এমনটাই বিবৃতি দিয়েছেন। আর এতেই আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক।

মস্কোর একো মস্কোভি রেডিয়ো স্টেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি অভিভূত। তালিবানদের ব্যবহার ভালো, ইতিবাচক এবং পেশাদারিত্বে ভরপুর।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘কাবুল শহরের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ভালো। শান্তি রয়েছে শহরে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানির তুলনায় তালিবানের হাতে কাবুল অনেকটাই সুরক্ষিত।’

রাশিয়ার তরফে দেওয়া বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, কাবুল শহরে প্রথমে সশস্ত্র তালিবানরা প্রবেশ করেনি। যারা করেছিল, তাঁদের হাতে কোনও অস্ত্র ছিল না। তাঁরা মার্কিন সেনা ও দেশের সেনাকে আত্মসমর্পন করার আর্জি জানায়। পরে আশরফ ঘানির পলায়নের পর সশস্ত্র তালিবানরা কাবুলে প্রবেশ করে।

দিমিত্রি জিরনভ আরও বলেন, ‘আফগানিস্তানে রুশ দূতাবাসের নিরাপত্তার দায়িত্ব ইতিমধ্যেই তালিবানরা নিয়েছে। সেখানে আমাদের ১০০ জন কর্মী রয়েছেন। তাঁদের সুরক্ষা নিয়ে লাগাতার আলোচনা চলছে। তাঁদের সুরক্ষার আশ্বাস দিয়েছে তালিবানরা। কাবুলে ইতিমধ্যেই স্কুলগুলি শুরু হয়েছে।’ পাশাপাশি রুশ দূতাবাসের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়েছে, ‘রাশিয়া এবং চিনের শক্তিবৃদ্ধির পটভূমিতে আমেরিকা ভীত নড়বড়ে। এটাই বাস্তব চিত্র।’

অন্যদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশেষ প্রতিনিধি জামির কাবুলভ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মস্কো তালিবানদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের যে চেষ্টা চালাচ্ছিল, তা এতদিনে সফল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’

১৯৮৯ সালে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত প্রশাসন। তারপর থেকে আফগান ভূমের উপর আরও কোনও কর্তৃত্ব ছিল না তাদের। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন, আমেরিকার উপ চাপ বাড়াতেই বিগত সাত বছর ধরে তালিবানের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে রাশিয়া।

আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা মোতায়েন থাকায় পূর্ব এশিয়া নিয়ে উদ্বেগে ছিল মস্কো। প্রাক্তন সোভিয়েত অঙ্গরাজ্য, তাজাকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তানের উপর রাশিয়ার প্রভাব এখনও রয়েছে। ফলে ঘানির পদত্যাগে রাশিয়া কার্যত লাভবান হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে মস্কো। ফলে রুশ রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি জিরনভের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen