ন্যাটোতে যোগ দেওয়া নিয়ে সুইডেন-ফিনল্যান্ডকে কড়া হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

পুতিনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সহ সভাপতি দিমিত্রি মেদভেদেভকে এই হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন, এমন হলে ‘পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত’ বাল্টিক নিয়ে আর কোনও রকমের আলোচনাই হবে না। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই হুঁশিয়ারির মাধ্যমে কার্যত পারমাণবিক হামলার ইঙ্গিতও দিয়ে রাখল রাশিয়া। পাশাপাশি হাইপারসনিক অস্ত্রশস্ত্র ও ইসকান্দার মিসাইলও ওই অঞ্চলে মোতায়েন করতে পারে মস্কো।

April 15, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি সৌঃ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

দেড় মাস পেরিয়ে দু’মাস হতে চলল রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধের (Russia-Ukraine War)। এখনও নিষ্পত্তি হয়নি সেই লড়াইয়ের। এই পরিস্থিতিতে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে কড়া হুঁশিয়ারি দিল ক্রেমলিন। জানিয়ে দিল, ওই দুই দেশ যদি ন্যাটোয় যোগ দেয় তাহলে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে রাশিয়া। সেই সঙ্গে বাল্টিক সাগরে স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে হবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

পুতিনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সহ সভাপতি দিমিত্রি মেদভেদেভকে এই হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন, এমন হলে ‘পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত’ বাল্টিক নিয়ে আর কোনও রকমের আলোচনাই হবে না। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই হুঁশিয়ারির মাধ্যমে কার্যত পারমাণবিক হামলার ইঙ্গিতও দিয়ে রাখল রাশিয়া। পাশাপাশি হাইপারসনিক অস্ত্রশস্ত্র ও ইসকান্দার মিসাইলও ওই অঞ্চলে মোতায়েন করতে পারে মস্কো।

এই সপ্তাহেই ফিনল্যান্ড ও সুইডেন জানিয়ে দিয়েছিল, ইউক্রেনে রুশ হামলার পরে পরিস্থিতি বিচার করে ন্যাটো সামরিক জোটে সদস্য হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে তারা। উল্লেখ্য়, দীর্ঘদিন ধরেই রাশিয়ার উত্তরপশ্চিম প্রান্তের প্রতিবেশী এই দুই দেশ কিন্তু ন্যাটোয় (NATO) যোগ দেয়নি। কিন্তু এবার তারাও পরিস্থিতি বিচার করে এব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করছে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ মস্কো।

বলে রাখা ভাল, ফিনল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার সীমান্তরেখা রয়েছে। বর্তমান ন্যাটো সদস্য কোনও দেশের সঙ্গেই পুতিনের দেশের এত দীর্ঘ সীমান্ত নেই। ফলে ফিনল্যান্ড ন্যাটো জোটের সদস্য হলে যে রাশিয়ার চিন্তা বাড়বে তাতে সন্দেহ নেই। এদিকে ‘শান্তিপ্রিয়’ সুইডেনও এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করায় চাপ বেড়েছে রাশিয়ার উপরে। এমনিতেই কয়েক সপ্তাহের লড়াইয়ের পরেও ইউক্রেন দখল করতে না পারায় অস্বস্তিতে মস্কো। এর মধ্যেই দুই প্রতিবেশী দেশকে নিয়েও তাদের চিন্তা যে বাড়ল তাতে সন্দেহ নেই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen