বাংলার পর্যটন মানচিত্রে আসছে দেবানন্দপুর, শরৎচন্দ্রের জন্মভিটে সংস্কারের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:০০: বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে তাঁর স্মৃতিবিজড়িত জন্মভিটে দেবানন্দপুরের সংস্কারের ঘোষণা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকালে সোশাল মিডিয়ায় শ্রদ্ধা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “হুগলির দেবানন্দপুরে জন্মভিটে সংস্কারের জন্য আমরা ১ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছি, তাড়াতাড়ি কাজ শুরুও হয়ে যাবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “কিছুদিনের মধ্যে দেবানন্দপুরও রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে আরো উঠে আসবে” পাশাপাশি ‘শরৎ স্মৃতি উদ্যান ও ইনফর্মেশন সেন্টার’ তৈরির ঘোষণাও করেছেন তিনি। এর আগে শরৎচন্দ্রের হাওড়ার বাসস্থান দেউলটি-সামতাবেড়ে-পানিত্রাস এলাকাতেও হেরিটেজ বাড়ি সাজিয়ে পর্যটন পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।
১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলির দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শরৎচন্দ্র। এখানেই কেটেছে তাঁর বাল্যজীবন, এখান থেকেই শুরু হয়েছিল লেখালেখির পথচলা। ‘শ্রীকান্ত’, ‘পথের দাবী’, ‘দত্তা’, ‘গৃহদাহ’, ‘দেবদাস’-সহ বহু কালজয়ী রচনা এই গ্রামেই রচিত হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “বাংলা সাহিত্যের চিরস্মরণীয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর জন্মদিবসে তাঁকে জানাই আমার প্রণাম। তাঁর লেখা বিভিন্ন উপন্যাস ও অন্যান্য রচনায়, তিনি সহজ ভাষায় বাঙালি জীবনের সুখ-দুঃখ, প্রেম-বিরহ, সামাজিক অবিচার ও সংস্কারের চিত্র যে দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন তার তুলনা সারা বিশ্বসাহিত্যেই বিরল।” তিনি আরও জানান, “ভারতীয় সাহিত্য ও চলচ্চিত্র তাঁর কাছে চির ঋণী।”
এই ঘোষণার মাধ্যমে শরৎচন্দ্রের সাহিত্যিক অবদানকে নতুন করে সম্মান জানাল রাজ্য সরকার এবং সেই সঙ্গে তাঁর স্মৃতিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ নিল।
