বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ে দোষী সাব্যস্ত শেখ হাসিনা, সাজা মৃত্যুদণ্ড

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:০০: বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করল। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এমনটাই জানা যাচ্ছে। বিচারপতিরা জানিয়েছেন, হাসিনা-সহ অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণিত। ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী তাঁরা শাস্তির যোগ্য।
রায়ে বিচারপতি বলেন, ‘‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হয়েছে। হাসিনা, আসাদুজ্জামান এবং আল-মামুন এর জন্য দায়ী। আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন। এখনও হেপাজতে রয়েছেন। কী কী ঘটেছে, তিনি সবটা জানিয়েছেন। তিনি যা অপরাধ করেছেন, স্বীকার করেছেন, তা সর্বোচ্চ শাস্তির যোগ্য। রাজসাক্ষী হওয়ার কথা বিবেচনা করে আমরা তাঁর শাস্তি কমাব। তা পরে জানানো হবে।’’
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সোমবার রায় ঘোষণা করছেন বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর ট্রাইব্যুনাল। রায় সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে। ঢাকাজুড়ে নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়েছে। রবিবার রাত থেকে উত্তাল বাংলাদেশ, অশান্তি হচ্ছে ওপার বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স, বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দুষ্কৃতীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ঢাকা পুলিশকে।
দীর্ঘ শুনানির শেষে সোমবার বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন মুজিব কন্যা। তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। তবে রাজসাক্ষী হয়ে ফাঁসির শাস্তি এড়ালেন প্রাক্তন পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লা আল-মামুন। দেশে না-থাকায় হাসিন আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন না।
জুলাই বিপ্লবে ছাত্রদের উপর গুলি চালানো তথা মানবতাবিরোধী অপরাধ প্রমাণিত হয়। আজ বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করল। আওয়ামি লীগ আগেই জানিয়েছে বিচারের নামে প্রসহসন চলছে। তাদের মতে, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নেই, তা কখনই ন্যায় বিচার হতে পারে না।
রায়দান চলাকালীন ধানমন্ডিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন আওয়ামি লীগের কর্মী-সমর্থকরা। তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় হাসিনাকে। উস্কানি দেওয়া, হত্যার নির্দেশ এবং দমনপীড়ন আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা। এর পরিপ্রেক্ষিতেই হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।