SIR in Bengal: মতুয়া অধ্যুষিত এবং সীমান্তবর্তী প্রান্তিক এলাকায় বাড়তি নজর তৃণমূলের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০৯:৪০: SIR নিয়ে তুঙ্গে তর্জা! যে কোনও মুহূর্তে বাংলায় SIR-র বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে মতুয়া অধ্যুষিত এলাকা ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে আলাদা করে বাড়তি নজর দিচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্তরা এবং সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার মানুষ যাতে SIR নিয়ে কোনওভাবেই ভীত-সন্ত্রস্ত না হন, সে’বার্তা দিতে চাইছে তৃণমূল। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে একাধিক সভা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলার শাসক শিবির।
বাংলায় কবে SIR হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে চর্চা চলছে। বিজেপি SIR নিয়ে প্রতিদিন সুর চড়াচ্ছে। বিজেপি নেতারা হুমকির সুরে বলছেন, SIR হলে এক কোটির বেশি মানুষের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়বে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে বিজেপি নেতাদের হুমকি। পাশাপাশি সিএএ-তে নাগরিত্বের আবেদনের জন্য আরও কিছু শিবির এবং কর্মসূচির পরিকল্পনাও করছে বিজেপি। তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, একজনও প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ পড়লে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। নভেম্বরের শুরুতে SIR-র বিরোধিতায় পথে নামবেন মমতা, অভিষেকরা।
উত্তর ২৪ পরগনা ও নদীয়া জেলায় মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস বেশি। রাজ্যের আরও কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে মতুয়ারা থাকেন। বনগাঁ, রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরাই সংখ্যাগুরু। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের ক্ষেত্রেও তাই। বিগত দু’টি লোকসভা ও একটি বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়াদের বড় একাংশের ভোট বিজেপিতে গিয়েছে। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোট নিজেদের দিকে টানতে চাইছে তৃণমূল। তাই SIR আবহে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের আরও কাছাকাছি পৌঁছতে চাইছে তৃণমূল। মতুয়াদের একাংশ SIR-র আতঙ্কে ভুগছে রীতিমতো। সর্বতোভাবে তাদের পাশে থাকার বার্তা দিতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল। মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় লাগাতার সভা-সমাবেশের পরিকল্পনা করছে তারা। বিধানসভা ও লোকসভা ভিত্তিক সভা হবে।
উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, দিনাজপুর সহ রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতেও বিশেষ নজর দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে লাগাতার সভা, সমাবেশ, জনসংযোগের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে তৃণমূলের তরফে।