উত্তরপ্রদেশে টোল প্লাজায় হেনস্তা ও মারধর জওয়ানকে, নিন্দায় সরব গোটা দেশ
ছেলের প্রতি দুর্বব্যহারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন ওই নিগৃহীত জওয়ানের বাবা।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:৩২: যোগীরাজ্যে রেহাই পাচ্ছেন না দেশের জন্য লড়াই করা সৈনিকেরাও। ডবল ইঞ্জিন উত্তরপ্রদেশের মিরাটের একটি টোল প্লাজায় জওয়ান কপিল সিংকে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনায় তোলপাড় গোটা গোটা দেশ। জওয়ানকে হেনস্তা করার অভিযোগে ওই টোল প্লাজার এজেন্সিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নিগৃহীত সেনার কাছে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে এনএইচএআই(NHAI)। সংস্থার ৬ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মিরাটের সারুরপুর থানার অন্তর্গত ভুনি টোল প্লাজায়। নির্যাতিত ওই জওয়ান জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মরত। গ্রাম থেকে দিল্লির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন তিনি।
ছেলের প্রতি দুর্বব্যহারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন ওই নিগৃহীত জওয়ানের বাবা।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জওয়ান কপিল সিংয়ের বাবা কৃষণ পাল জানিয়েছেন, “ছুটি শেষ করে কপিল ডিউটিতে ফিরছিল। আমরা ওকে দিল্লি এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলাম। ভূনি টোল প্লাজায় পৌঁছে পর সে কর্মীদের অনুরোধ করে তাকে জলদি ছাড়তে, কারণ তাঁকে ফ্লাইট ধরতে হবে। কর্মীরা কপিলের সেনা পরিচয়পত্র ফেলে দেয় এবং খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর শুরু করে। এই দুর্ব্যবহারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” কপিলের ভাই প্রদীপ জানিয়েছেন, তাঁর দাদাকে ১০ থেকে ১২ জন মিলে অন্যায়ভাবে মারধর করেছে। হেনস্থা ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কর্নাল জাতীয় সড়কের উপর ওই টোল প্লাজায় ব্যাপক ট্রাফিক জ্যাম ও টোল ফি নিয়ে সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে ওই জওয়ানের বচসা হয়। যার জেরে ওই জওয়ানকে সদলবলে আক্রমণ করে সেখানকার কর্মীরা। পিছমোড়া করে তাঁকে বেঁধে ফেলা হয় সেখানেই। এরপর শুরু হয় মার। ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি দৃষ্টিভঙ্গি।
ঘটনার নিন্দা করে ভারতীয় সেনা বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘একজন কর্মরত সেনার বিরুদ্ধে এই ধরনের ঘটনার কঠোর নিন্দা জানাচ্ছে ভারতীয় সেনা। দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। খুনের চেষ্টা, বেআইনি জমায়েত এবং ডাকাতির অভিযোগে বিএএনএস-এর আওতায় ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি নিয়ে এনএইচএআই(NHAI)-এর কাছে প্রতিবাদও জানানো হয়েছে, যাতে সংশ্লিষ্ট দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে পদক্ষেপ করা হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’