নদীর গানে মুখরিত যোগীঘাট

নদীর নাম রিয়াংখোলা, জায়গার নাম যোগীঘাট। এ পারে লাবদা ও মংপু, ও পারে তুরুক খাসমহল, দার্জিলিং জেলায় যথাক্রমে সিঙ্কোনা ও কমলালেবুর দেশ। ঝাড়ু ও শরবনের আড়ালে এখানে সূর্যাস্ত হয়। সে দৃশ্য অনেক দিন মনে থাকবে।

February 7, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নদীর নাম রিয়াংখোলা, জায়গার নাম যোগীঘাট। এ পারে লাবদা ও মংপু, ও পারে তুরুক খাসমহল, দার্জিলিং জেলায় যথাক্রমে সিঙ্কোনা ও কমলালেবুর দেশ। ঝাড়ু ও শরবনের আড়ালে এখানে সূর্যাস্ত হয়। সে দৃশ্য অনেক দিন মনে থাকবে। সন্ধে নামতেই চারদিক অতি শুনশান, কান জুড়ে শুধু নদীর গান।

যোগীঘাটের নাম খুবই অচেনা। প্রথম এলে নিজের চোখে রিয়াংয়ের ব্যতিক্রমী চলন ও দু’পারের চোখজুড়নো প্রকৃতি দেখে প্রেমে পড়ে যেতে বাধ্য। শীতের শেষে ধাপে ধাপে রিয়াংয়ের বেডে নেমে যাওয়া নিসর্গের বিস্তৃত ক্যানভাসে রং কিছু কম পড়েবেনা। সকাল থেকে বিকেল সেই রঙের অদলবদল যোগীঘাটের প্রকৃতিকে আরও বৈচিত্রময় ও উপভোগ্য করে তোলে। এই সব নিয়ে কয়েক দিন সত্যিই যেন অজ্ঞাতবাসে কাটানো যায় অবলীলায়।

যোগীঘাট। ছবি সৌজন্যেঃ আনন্দবাজার পত্রিকা

বছরের যে কোনও সময়ে ছোট ছুটি সম্বল করে রিয়াং নদীর গান শোনার জন্য যাওয়া যেতে পারে যোগীঘাট। উচ্চতা সাড়ে তিন হাজার ফুটের কাছাকাছি হওয়ায় শীত-গ্রীষ্ম, কোনওটারই তীব্রতা সে রকম পীড়াদায়ক নয়। সেরা মানের কমলালেবুর জন্য বিখ্যাত সিটংয়ের নিম্নবর্তী অংশে সব দিক থেকে (সিটং-২ খাসমহল) ব্যতিক্রমী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার যোগীঘাট।

রিয়াংখোলা নদী। ছবি সৌজন্যেঃ আনন্দবাজার

লুপ্তপ্রায় প্রাণী হিমালয়ান নেউট বা স্যালামান্ডারের বাসভূমি নামথিং পোখরি এখান থেকে বেশি দূরে নয়। বস্তুত, কমলার দেশ সিটং ও সিঙ্কোনার দেশ লাটপাঞ্চারের সব দর্শনীয় স্থান একই দিনে গাড়িতে ঘোরা সম্ভব যোগীঘাটকে কেন্দ্র করে। বাগোড়া, চিমনি হয়ে ওল্ড মিলিটারি রোডের অনবদ্য বন্য সৌন্দর্যের ভেতর দিয়ে কার্শিয়ং ঘুরে আসতে পারবেন কয়েক ঘণ্টায়। অন্য দিকে, মংপুতে রবীন্দ্রতীর্থ যাওয়া বা আসার পথে ঘোরা হয়ে যাবে। তার মানে, যোগীঘাট নামটা আনকোরা হলেও জায়গাটি উত্তরবঙ্গের চেনা মানচিত্রের বাইরে নয়।

রিয়াংখোলা নদীর তীরে বসতি। ছবি সৌজন্যেঃ আনন্দবাজার

কী ভাবে যাবেন: নিউ জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া করে দু’টি রাস্তায় যোগীঘাট যাওয়া যায়। ১) রোহিনী রোড, কার্শিয়াং, দিলারাম হয়ে, ২) সেবক রোড, রম্ভি, মংপু, লাবদা হয়ে। দুই রাস্তাতেই দূরত্ব শিলিগুড়ি থেকে ৭০-৭৫ কিমি। কার্শিয়াং ৩০-৩২ কিমি।

কোথায় থাকবেন: রিয়াং নদীর সেতুতে ওঠার মুখেই মুখিয়া হোম স্টে যোগীঘাটে থাকার একমাত্র জায়গা। জনপ্রতি দিনপ্রতি থাকা ও খাওয়ার খরচ ১২০০-১৫০০ টাকা। বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ: ৯৭৩৩২৮৩৯৮৪ এবং ৯৬৪৭৪৬৭১৩২

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen