বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে কম্পোজিট গ্রান্ট বরাদ্দ রাজ্যের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৩৪: উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যা এবং দক্ষিণবঙ্গের লাগাতার বৃষ্টিতে রাজ্যের বহু সরকারি স্কুলের বেহাল দশা। কোথাও ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে, কোথাও বেঞ্চ-টেবিল ভাঙা, আবার কোথাও মাসের পর মাস পাখা খারাপ হয়ে পড়ে আছে। বিদ্যুতের বিলও বকেয়া বহু স্কুলে। এই পরিস্থিতিতে মেরামতির অর্থের অভাবে কার্যত বিপাকে পড়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে রাজ্য সরকার (State Govt) এগিয়ে এল।
প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত স্কুলগুলির জন্য সরকার কম্পোজিট গ্রান্টের (Composite Grant) ২৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করেছে। যদিও রাজ্যের দেওয়ার কথা ছিল ৪০ শতাংশ, তবে আপাতত ২৫ শতাংশ অর্থই ছাড় করা হয়েছে।
সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে জানা গেছে, স্কুলের দৈনন্দিন প্রয়োজন থেকে শুরু করে পরিকাঠামো উন্নয়ন পর্যন্ত সবকিছুই কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ প্রকল্পের অংশ। তবে ২০২২ সালের পর থেকে কেন্দ্রের তরফে বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, চলতি বছর কিছু অর্থ পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। অতিবৃষ্টিতে এবার বেশিরভাগ স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে ওই অর্থে পূর্ণ মেরামতি সম্ভব নয়।
সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও সরকার পোষিত প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলির জন্য ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে যে হারে বরাদ্দ করা হয়েছে, তা হলো
– ১ থেকে ৩০ জন পড়ুয়া থাকা স্কুল: ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে ২৫০০ টাকা
– ৩১ থেকে ১০০ জন পড়ুয়া থাকা স্কুল: ২৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ৬২৫০ টাকা
– ১০১ থেকে ২৫০ জন পড়ুয়া থাকা স্কুল: ৫০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১২,৫০০ টাকা
– ২৫১ থেকে ১০০০ জন পড়ুয়া থাকা স্কুল: ৭৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ১৮,৭৫০ টাকা
– ১০০০ জনের বেশি পড়ুয়া থাকা স্কুল: ১ লক্ষ টাকার পরিবর্তে ২৫,০০০ টাকা
শিক্ষা দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, এই অর্থ মেরামত ও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ করা যাবে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলির প্রকৃত প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকার বিবেচনা করছে।