নেপালের ছাত্র-যুব অভ্যুত্থানের নায়ক সুদান গুরুংকে চেনেন?
নেপালের ছাত্র-যুবদের মধ্যে জনপ্রিয় ওঠেন তিনি। পরবর্তীতে বিপি কৈরালা ইনস্টিটিউটে দুর্নীতির প্রতিবাদ করেন সুদান।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:০৫: ছাত্র-যুব আন্দোলনে উত্তাল নেপাল (Nepal)। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৈডালের বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা। দেশের অধিকাংশ মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা হয়। গোটা মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করছে। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে পদত্যাগ করেছেন। নেপালি সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, এই আন্দোলনের নেপথ্যে বছর ছত্রিশের সুদান গুরুং (Sudan Gurung)।
২০১৫ সালে নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ‘হামি নেপাল’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন সুদান গুরুং। ভূমিকম্পে নিজের সন্তানকে হারান যুবক সুদান। এরপরই নেপালের জন্য কাজ শুরু করেন তিনি। ২০১৫ সালের পর ত্রাণ এবং বিপর্যয় মোকাবিলার কাজে নামেন সুদান। নেপালের ছাত্র-যুবদের মধ্যে জনপ্রিয় ওঠেন তিনি। পরবর্তীতে বিপি কৈরালা ইনস্টিটিউটে দুর্নীতির প্রতিবাদ করেন সুদান।
নেপাল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছিল। তার মধ্যে ‘হামি নেপাল’-র সভাপতি সুদান ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন। তিনি সরকার বিরোধী প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেন। তাঁরা বার্তা ছিল, স্কুলের পোশাক পরে হাতে বই নিয়ে মিছিল করতে হবে। শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। এই আবহে ২৬টি সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে নিষিদ্ধ করে ওলি সরকার। এরপরই পথে নেমে শুরু হয় বিপ্লব। যার অভিঘাত আজ নেপাল সরকার পড়ে গেল।