কলকারখানায় নজরদারির সংখ্যা কমছে! মোদী আমলে দেশে শ্রমিকদের সুরক্ষা অথৈ জলে?

২০১৪ সালে গোটা দেশে বিভিন্ন কলকারখানায় নজরদারির সংখ্যা ছিল ১,১৮,৯৫২টি। ২০২১-এ ৪৭,১২৫টি কারখানায় নজরদারি চালানো হয়েছে।

August 5, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
Surveillance in factories is decreasing!
Surveillance in factories is decreasing!

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২.২৯: দেশের বিভিন্ন কলকারখানায় নজরদারির সংখ্যা ক্রমেই কমছে, ২০১৪-২০১৮ এবং ২০১৯-২০২১ পর্বে ক্রমান্বয়ে কমেছে নজরদারি। খোদ মোদী সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। দেশের কলকারখানাগুলিতে শ্রমিক, কর্মচারীরা যথাযথ নিরাপত্তা পাচ্ছেন কি-না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের ফ্যাক্টরি আইন অনুসারে কলকারখানায় এহেন নজরদারি চালানো বাধ্যতামূলক। এহেন পরিসংখ্যানে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট মহল। উঠছে প্রশ্ন, মোদী আমলে দেশের শ্রমিক-কর্মচারীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি শিকেয় উঠেছে?

সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই পরিসংখ্যান পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী শোভা করন্দলাজে। সাফাই দিয়ে রাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা মহামারির কারণে কলকারখানায় নজরদারির সংখ্যা কিছু কম হতে পারে। প্রশ্ন এসে পড়ে, ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সময়সীমায় নজরদারির সংখ্যা কম হল কেন? তখন তো করোনা ছিল না।

কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪ সালে গোটা দেশে বিভিন্ন কলকারখানায় নজরদারির সংখ্যা ছিল ১,১৮,৯৫২টি। ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে তা কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১,১১,১৫০, ১,০১,৫৪৯ এবং ৮১,৭৯১। ২০১৮ সালে আরও কমে হয় ৮০,৬৫০। ২০১৯ সালে ৮৭,৭৭১টি, ২০২০ সালে ৬৬,০৬৩টি এবং ২০২১-এ ৪৭,১২৫টি কারখানায় নজরদারি চালানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সংক্রান্ত শ্রমিক উন্নয়ন কর্মসূচিতেও বিগত ১০টি অর্থ বছরে উপভোক্তার সংখ্যা সারা দেশে লক্ষ্যণীয়ভাবে কমেছে। তৃণমূল সাংসদ মালা রায় সহ বিভিন্ন দলের ১৩ জন সাংসদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এদিন লোকসভায় শ্রম দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী শোভা করন্দলাজে যে তথ্য দিয়েছেন, তাতেও রীতিমতো ভয়ঙ্কর। দেখা যাচ্ছে, আবাস সংক্রান্ত শ্রমিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে একজনও পরিষেবা পাননি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen