সুশান্ত সিং রাজপুতের বোন দিব্যা গৌতম বিহার নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন! বাম জোটের নতুন চমক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৫৭: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক মহলে বড়সড় চমক। প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত এর বোন দিব্যা গৌতম এবার সরাসরি রাজনীতির ময়দানে পা রাখলেন। তাঁকে প্রার্থী করেছে Communist Party of India (Marxist–Leninist) Liberation বা সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন পাটনার গুরুত্বপূর্ণ দিঘা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। আগামী বুধবার তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বলে জানা গেছে।
দিব্যা মূলত ছাত্র রাজনীতির জগতের পরিচিত মুখ। তিনি আগে All India Students’ Association (আইসা)-র নেত্রী ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা, সঙ্গে প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মীয়া হওয়ার কারণে তাঁর প্রার্থীপদ ইতিমধ্যেই ভোটের ময়দানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দিব্যার লড়াই তরুণ ভোটারদের মধ্যে বিশেষ সাড়া ফেলতে পারে এবং রাজ্যে বামপন্থীদের শক্তি আরও দৃঢ় করতে পারে।
সিপিআই (এমএল) লিবারেশন Mahagathbandhan জোটের অংশ। এই বিরোধী জোটে রয়েছে Rashtriya Janata Dal (আরজেডি) এবং Indian National Congress (কংগ্রেস)। যদিও মূল জোটের আসন বণ্টনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও ঘোষণা হয়নি, ছোট সহযোগীরা ইতিমধ্যেই নিজেদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ শুরু করেছে।
এদিকে বাম দলগুলিও ভোটের লড়াইয়ে নিজেদের অবস্থান শক্ত করছে। Communist Party of India (Marxist) বা সিপিআই (এম)-এর দুই বিধায়ক অজয় কুমার ও সত্যেন্দ্র যাদব ১৪ ও ১৮ অক্টোবর মনোনয়ন জমা দেবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে স্পষ্ট হচ্ছে, এই নির্বাচনে বামপন্থীরা কার্যকর প্রভাব ফেলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
অন্যদিকে, শাসক জোট National Democratic Alliance (এনডিএ) ইতিমধ্যেই আসন বণ্টনের রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে। বিজেপি ২৪৩টির মধ্যে ১০১ আসনে লড়বে। মুখ্যমন্ত্রী জনতা দল বা জেডিইউ সমঝোতায় অংশ নিয়েছে। এ ছাড়া লোক জনশক্তি পার্টি (Ram Vilas)-কে ২৯টি, আর হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা ও রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চাকে ছয়টি করে আসন বরাদ্দ করা হয়েছে।
দুই দফায় ২০২৫ বিহারের বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৬ ও ১১ নভেম্বর। ফলে এখন রাজ্যের রাজনীতি কার্যত তপ্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বড় দুই জোট — মহাগঠবন্ধন ও এনডিএ — উভয়ই জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে। মহাগঠবন্ধনের আসন বণ্টনের চূড়ান্ত ঘোষণা আসন্ন দিনগুলিতে হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান। সেই সঙ্গে স্পষ্ট, বিহারের ভোটযুদ্ধ এবারে হতে চলেছে তীব্র ও হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।