Tariff War: ভারত-মার্কিন বাণিজ্যকে ‘বিপর্যয়’ বললেন ট্রাম্প
ট্রাম্পের দাবি, ভারত বহুদিন ধরে একতরফা বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০৯:৫০: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত-মার্কিন বাণিজ্যকে বিপর্যয় বলেছেন। একে একতরফা সম্পর্ক বলে অভিহিত করেছেন। ট্রুথ সোশালে পোস্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা খুবই সীমিত, অথচ তারা আমেরিকায় বিপুল পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে। আমরা তাদের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। কিন্তু তারা আমাদের কাছ থেকে প্রায় কিছুই কিনে না। এর উপর ভারত আমাদের পণ্যে সবচেয়ে বেশি শুল্ক বসিয়েছে। ফলে আমরা ভারতে বিক্রি করতে পারছি না। এটা পুরোপুরি একতরফা বিপর্যয়।”
চীনের তিয়ানজিনে এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর পার্শ্ববৈঠকের পরই ট্রাম্প কার্যত সতর্ক করলেন নয়াদিল্লিকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতকে বার্তা ‘ভাঙবেন, কিন্তু মচকাবেন না’।
ট্রাম্পের দাবি, ভারত বহুদিন ধরে একতরফা বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করছে। তাঁর কথায়, “ওরা এখন মার্কিন পণ্যে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিচ্ছে। কিন্তু এটা অনেক আগেই করা উচিত ছিল।” এখানেই না থেমে ইন্দো-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্ককে তিনি সরাসরি “একতরফা বিপর্যয়” বলে আখ্যা দিলেন।
প্রসঙ্গত, প্রথমে ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপায় ওয়াশিংটন। পরে রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানির জেরে আরও ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক বসানো হয়। একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে- মস্কোর সঙ্গে তেল ব্যবসা অব্যাহত রাখলে দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে নয়াদিল্লি।
এই প্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পিটার নাভারোর মন্তব্যও তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর মতে, “ইউক্রেনে শান্তির রাস্তা দিল্লি দিয়েই যায়।” পর্যবেক্ষকদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভারতকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে চাপে রাখতেই একের পর এক চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে নয়াদিল্লির অবস্থান স্পষ্ট- এই শুল্ক আরোপ অন্যায্য এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিধির বিরোধী। সরকারি মহলের আশা, দেশীয় বাজারের ভরসায় এবং বিকল্প বাণিজ্য কৌশল কাজে লাগিয়ে এই চাপ সামাল দিতেই সক্ষম হবে ভারত।