Tele Academy Awards 2025: সামাজিক চেতনা বৃদ্ধিতে টেলিভিশনের ভূমিকা নিয়ে কী বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:২০: টেলিভিশন শুধু বিনোদন নয়, সামাজিক চেতনার দর্পণও! টেলি অ্যাকাডেমি পুরস্কারের (Tele Academy Awards 2025) মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বার্তা, “টেলিভিশনের সবচেয়ে বড় দিক হোক মানবিকতা, সামাজিক চেতনা ও সুশিক্ষা বৃদ্ধি।”
বৃহস্পতিবার রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে ‘ধন ধান্য’ প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত টেলি অ্যাকাডেমি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছোট পর্দার তারকাদের সম্মানিত করার পাশাপাশি ধারাবাহিক নির্মাতাদের উদ্দেশে তিনি বিশেষ বার্তা দেন।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে টেলিভিশনের সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “টেলিভিশন চ্যানেলের সবথেকে বড় দিক হোক মানবিক, সামাজিক চেতনা, সুশিক্ষা বৃদ্ধি। আমাদের বর্তমান প্রজন্মের কাছে ইতিহাস হয়তো ঠিকভাবে পৌঁছচ্ছে না। টেলিভিশনের মাধ্যমেই কখনও কখনও সামাজিক চেতনা বৃদ্ধি করতে হবে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “আমাদের এই মাটিই কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্ম দিয়েছে। নবজাগরণের জন্ম দিয়েছে, এই মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি। আমি সেই মাটিটাকে চেনানোর জন্য বলছি। এটা একটা পরিবার।”
অতীতে ধারাবাহিকের চিত্রনাট্যে কূটকচালি ও বহুবিবাহের মতো প্লট বর্জনের পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারের আসরেও তিনি সেই বার্তা পুনরায় তুলে ধরেন। তবে দর্শক টানার বিষয়টি মাথায় রেখে তিনি বলেন, গল্পে বৈচিত্র্য থাকা প্রয়োজন, টিআরপি বাড়ানোও জরুরি।
শিল্পী ও কলাকুশলীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “টেলিভিশন হচ্ছে আমাদের হৃদয়ের দর্পণ। সমাজশিক্ষা, সমাজের আলোড়ন, ভাষা ও সঙ্গীতের সংকলন, সব মিলিয়ে এই জগৎ মানুষের বিনোদনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।” তিনি আরও জানান, শিল্পীরা দিনরাত এক করে কাজ করেন, উৎসবের সময়ও তাঁদের ছুটি থাকে না। তাই এই পুরস্কার তাঁদের জীবনের উৎসব হয়ে উঠুক।