সস্তায় তেল কিনলেও আম জনতার পকেট থেকে বিপুল টাকা কোষাগারে পুরেছে কেন্দ্রীয় সরকার

২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে পেট্রপণ্যের উপর শুল্ক (এক্সাইজ ডিউটি) বাবদ ১ লক্ষ ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি ঢুকেছে কেন্দ্রের কোষাগারে।

November 25, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেশের মানুষ আশা করেছিল, পেট্রল-ডিজেলের দাম হয়তো কমবে। না, আড়াই বছর পরও সেই সুফল পায়নি দেশবাসী। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও, দেশের বাজারে তার কোনও প্রভাব পড়ে না। বরং জ্বালানি তেলের উপর কর চাপিয়ে আম জনতার পকেট থেকে বিপুল টাকা কোষাগারে পুরেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কত টাকা? পেট্রলিয়াম মন্ত্রকের অধীনস্থ পেট্রলিয়াম প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যানালিসিস সেল (পিপিএসি) জানাচ্ছে, ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে পেট্রপণ্যের উপর শুল্ক (এক্সাইজ ডিউটি) বাবদ ১ লক্ষ ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি ঢুকেছে কেন্দ্রের কোষাগারে।

চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছয় মাসেই এই টাকা আদায় হয়েছে। অর্থবর্ষের শেষে এই অঙ্ক দাঁড়াবে প্রায় দ্বিগুণ। কারণ গত অর্থবর্ষে এই শুল্ক বাবদ মোট ২ লক্ষ ৭৪ হাজার কোটি টাকা এসেছিল কেন্দ্রের ভাঁড়ারে। এবার প্রথম ছয় মাসেই সেই টাকার ৪৮ শতাংশ আদায় হয়ে গিয়েছে। এই তথ্য সামনে আসার পরই প্রশ্ন উঠছে, কর বাবদ আয় যাতে না কমে, তার জন্যই কি দেশে বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমাতে আগ্রহী নয় কেন্দ্র? কারণ, দাম কমাতে গেলে সবার প্রথম এই শুল্কেই কাঁটছাঁট করতে হবে সরকারকে।

এক্সাইজ ডিউটি হিসেবে কত টাকা কেন্দ্রকে দেন সাধারণ মানুষ? বর্তমান হিসেব অনুযায়ী, নন-ব্র্যান্ডেড পেট্রলের জন্য প্রতি লিটারে ১৯.৯০ টাকা এবং ব্র্যান্ডেড পেট্রলের ক্ষেত্রে দিতে হয় লিটারপিছু ২১.১০ টাকা। অন্যদিকে, হাই স্পিড ডিজেলের ক্ষেত্রে এই করের অঙ্ক প্রতি লিটারে ১৫.৮০ টাকা। ব্র্যান্ডেড ডিজেলের ক্ষেত্রে লিটারপিছু কর দিতে হয় ১৮.২০ টাকা। ২০১৪ সালের মে মাসে ক্ষমতায় এসেছিল মোদি সরকার। তারপর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে ১২ বার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen