লোকসভা নির্বাচন বাবদ বাংলায় বকেয়া ১০৮০ কোটি টাকা আজও মেটায়নি কেন্দ্র

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৩০: নানান কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বঞ্চনা আছেই। পাশাপাশি দেড় বছর আগে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচন বাবদ বকেয়া এখনও রাজ্যকে মেটায়নি কেন্দ্র। বকেয়ার অঙ্ক ১০৮০ কোটি টাকা! বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, আসন্ন ভোটের পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজকর্ম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে দিল নবান্ন।
কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের দায়িত্ব বকেয়া মেটানো। বকেয়ার বোঝা নিয়ে বৃহস্পতিবার ছাব্বিশের ভোটের প্রস্তুতি বৈঠক করল নবান্ন। বিভিন্ন খাতে কেন্দ্রের কাছে রাজ্য প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ পায়। অভিযোগ, টাকা আটকে রেখেছে মোদী সরকার। এই আবহে এবার রাজ্যের কাঁধে বিধানসভা ভোট প্রস্তুতির বাড়তি খরচের বোঝাও চাপতে চলেছে। এ’বছর বুথের সংখ্যা বাড়তে চলেছে বলে খবর, ফলে খরচও বাড়বে।
রাজ্যে নির্বাচন করানোর দায়িত্ব পশ্চিমবঙ্গ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসের। কেন্দ্রীয় বাহিনী তথা নির্বাচনী পরকাঠামো তৈরি সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব নবান্নের। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তত্ত্বাবধানে এবং পুলিশের সহযোগিতায় নির্বাচন আয়োজন করে পূর্ত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর। স্ট্রংরুম, ইভিএম আদানপ্রদান স্থল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য অস্থায়ী রান্নাঘর, শৌচাগার তৈরি করে দিতে হয় রাজ্যকেই। সেই সঙ্গে পানীয় জলের সরবরাহ এবং পর্যাপ্ত আলো-পাখার ব্যবস্থাও করতে হয়। ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনে এসব খাতে খরচ হওয়া ১০৮০ কোটি টাকা মেটায়নি কেন্দ্র। লোকসভা নির্বাচনের ১০০ শতাংশ খরচই কেন্দ্রকে দিতে হয়। কিন্তু অডিটেড রিপোর্টের দোহাই দিয়ে আগের ভোটের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। কেন্দ্র টাকা না-দিলেও সমস্ত ঠিকাদারদের টাকা মিটিয়েছে রাজ্য। কেন্দ্রের দাবি অনুযায়ী, অডিটেড রিপোর্টও দেওয়া হয়েছে।
বৃস্পতিবার স্বরাষ্ট্র দপ্তরের ডাকা নির্বাচন সম্বন্ধীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের আধিকারিকরা। শোনা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের মতো এবারও পূর্ত দপ্তর একটি পোর্টাল তৈরি করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা ব্যবহার করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি দপ্তর। কী কী কাজ হবে, তা প্রতিটি দপ্তরকে প্রথমে তুলতে হবে পোর্টালে। টেন্ডার ডাকা, ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যু করা থেকে শুরু কাজ পরিচালনা, সব বিষয়ের উপর নজরদারি চলবে এই পোর্টালের মাধ্যমে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হচ্ছে কি-না দেখা হবে।