Trump-Putin Summit: ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের ফলাফলহীনতা, ভারতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ
এই বৈঠকের মাধ্যমে নির্ধারিত হতে পারত যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর আরোপিত শুল্ক (tariffs) নীতিতে কোনো ছাড় দেয় কিনা।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৩৫: মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) মধ্যে আলাস্কায় অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের শীর্ষ বৈঠকটি বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনও সমাধান বা যুদ্ধবিরতি চুক্তি না হলেও দুই নেতাই এই আলোচনাকে কার্যকর (productive) বলে বর্ণনা করেছেন। এই বৈঠকের ফলাফল শুধু ইউক্রেন বা রাশিয়া নয়, ভারতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ এর মাধ্যমে নির্ধারিত হতে পারত যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর আরোপিত শুল্ক (tariffs) নীতিতে কোনো ছাড় দেয় কিনা।
ভারত আশা করেছিল যে রাশিয়ার তেল (Russian oil) কেনার জন্য মার্কিন শুল্ক স্থগিত থাকবে, কারণ ২৭শে অগাষ্ট থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু বৈঠকে ইতিবাচক কোনো ফল না আসায় এখন ভারতকে নতুন কৌশল ভাবতে হবে। মার্কিন শুল্কের চাপ যদি সহ্য করা কঠিন হয়, তাহলে ভারতকে হয় রাশিয়ান তেলের উপর নির্ভরতা কমাতে হবে, নয়তো বিকল্প বাজার (alternative market) খুঁজে বের করতে হবে।
ফক্স নিউজের শন হ্যানিটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, রাশিয়ার তেল কেনার জন্য চীনের (China) ওপর শুল্ক আরোপ তিনি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখবেন, যেহেতু পুতিনের সাথে কিছু অগ্রগতি হয়েছে। তবে তিনি ভারতের নাম উল্লেখ করেননি, যেখানে ভারত রাশিয়ান ক্রুড অয়েলের (crude oil) অন্যতম প্রধান ক্রেতা। বর্তমানে ভারতের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৫ শতাংশ শুধুমাত্র রাশিয়া থেকে তেল আমদানির জন্য জরিমানা (penalty) হিসেবে ধার্য হয়েছে।
ট্রাম্প আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে শীঘ্রই পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির (Volodymyr Zelenskyy) মধ্যে একটি বৈঠক হতে পারে, যেখানে তিনিও অংশ নিতে পারেন। এই বৈঠক যদি হয়, তাহলে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানের পথ কিছুটা সুগম হতে পারে। তবে যতক্ষণ না কোনো চুক্তি হচ্ছে, ততক্ষণ ভারত-সহ অন্যান্য দেশকে রাশিয়ার তেল নিয়ে বাণিজ্যিক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়েই যেতে হবে।
এমন পরিস্থিতিতে ভারতকে এখন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে – হয় শুল্ক মেনে নিয়ে রাশিয়ান তেল কেনা চালিয়ে যেতে হবে, নয়তো অন্য সরবরাহকারীর (suppliers) দিকে ঝুঁকতে হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত ভারতের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে জ্বালানি ক্ষেত্রে (energy sector)।