করোনা রোধে আশা জাগাচ্ছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন

অন্য একটি সূত্র ভ্যাকসিনের এই ফলকে ‘দ্বিগুণ সুরক্ষা’ কবজ বলে উল্লেখ করেছে।

July 18, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

করোনা মোকাবিলায় আশার আলো। কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে ‘দ্বিগুণ সুরক্ষা’ দেবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি ভ্যাকসিন। মানব শরীরে প্রথম দফার ট্রায়ালের পর গবেষকরা এমনই দাবি করেছেন। ব্রিটেনের ‘দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ’এর প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করেছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ‘চ্যাডোক্স ১ এনকোভ-১৯’-এর প্রথম দফার ট্রায়াল ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। যে সমস্ত স্বেচ্ছাসেবকদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে তাঁদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শরীরে অ্যান্টিবডির পাশাপাশি করোনার ‘ঘাতক টি-সেল’ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। গবেষণার এই ফলই বিজ্ঞানীদের আশা জাগাচ্ছে। কেননা বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, ভ্যাকসিন প্রয়োগের কয়েক মাসের মধ্যে অ্যান্টিবডি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু, টি-সেল বছরের পর বছর শরীরে থেকে যাবে। তবে তার মানে এই নয় যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি ভ্যকসিন মারণ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা দিতে তৈরি। এখনও বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাকি রয়েছে। একটি সূত্র উদ্ধৃত করে টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ‘ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর অ্যান্টিবডি এবং টি-সেল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সুরক্ষিত রাখবে। এটা গবেষণার একটা আশাব্যাঞ্জক দিক। কিন্তু, আমাদের এখনও অনেক দূর যেতে হবে। অন্য একটি সূত্র ভ্যাকসিনের এই ফলকে ‘দ্বিগুণ সুরক্ষা’ কবজ বলে উল্লেখ করেছে।

আগামী সোমবার মেডিক্যাল জার্নাল ‘ল্যানসেট’-এ ভ্যাকসিনের প্রথম দফার ট্রায়ালের ফল প্রকাশিত হবে। অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছিল বার্কশায়ার রিসার্চ এথিকস কমিটি। তার চেয়ারম্যান ডেভিড কারপেন্টার বলেন, ভ্যকসিনের গবেষণা সঠিক পথেই এগচ্ছে। কবে বাজারে মিলবে এই ভ্যাকসিন? জবাবে তিনি বলেছেন, সঠিক তারিখ বলা সম্ভব নয়। যেকোনও মুহূর্তে গোটা গবেষণা ভেস্তে যেতে পারে। তবে যেহেতু আমাদের সঙ্গে বড় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা রয়েছে, তাই আশাকরি আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিন বাজারে আনতে পারব। ব্রিটিশ সরকার এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা অস্ত্র জেনেকার সহায়তায় ভ্যাকসিন গবেষণার কাজ করছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউট। ভ্যাকসিনের অগ্রগতি প্রসঙ্গে জেনার ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনোলজি বিভাগের প্রফেসর সারা গিলবার্ট বলেন, ‘চ্যাডোক্স১ এনকোভ-১৯’-এর সুরক্ষা ও ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে ট্রায়াল টিম রাত-দিন কাজ করছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen