মুখ পুড়ল কেন্দ্রের, সোনালী ও তাঁর পরিবারকে অবিলম্বে দেশে ফেরানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:২৩: সোনালী খাতুন ও তাঁর পরিবারকে অবিলম্বে দেশে ফেরানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বাংলাদেশ থেকে সোনালী খাতুন ও তাঁর পরিবারকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্র। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চে আজ মামলাটি ওঠে। সেখানেই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
প্রাথমিকভাবে শীর্ষ আদালত সোনালী ও তাঁর পরিবারকে দেশে ফেরানোর নির্দেশ দেয়। কেন্দ্রের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল জানান, তাৎক্ষণিকভাবে শুনানির জন্য প্রস্তুত নন। সময় চান। আদালত সময় দিতে অস্বীকার করে। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, তালিকাভুক্ত মামলায় শুনানি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। জন্মের শংসাপত্র সহ অন্যান্য নথি প্রাথমিকভাবে জোরালো প্রমাণ তুলে ধরছে। আদালতের মতে, অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়গুলি পর দেখা যাবে, আপাতত পরিবারকে ফেরানো অগ্রাধিকার।
মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।
চলতি বছরের ২১ জুন দিল্লির রোহিণী থেকে সোনালী, তাঁর স্বামী দানিশ শেখ, তাঁদের ৮ বছরের ছেলে সাবির এবং সুইটি বিবি ও তাঁর দুই পুত্রকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে আটক করা হয়েছিল। ২৬ জুন দিল্লির ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস তাঁদের দেশছাড়া করার নির্দেশ দেয়। তাঁদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। ২১ আগস্ট বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা এখনও কারাগারে বন্দি।
কলকাতা উচ্চ আদালত ২৬ সেপ্টেম্বর নির্দেশে জানায়, বাংলাদেশে পুশব্যাক করা বীরভূমের সোনালী খাতুন সহ আরও পাঁচজনকে চার সপ্তাহের মধ্যে ভারতে ফিরিয়ে আনতে হবে। কেন্দ্রের পক্ষে ২২ অক্টোবর আবেদন জমা পড়ে। ২৪ অক্টোবর চার সপ্তাহের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তাঁদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। উল্টে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যায় কেন্দ্র। উল্লেখ্য, হাইকোর্টে জমা পড়া হেবিয়াস কর্পাস আবেদনপত্রে সোনালির বাবা ভদু শেখ উল্লেখ করেন, তাঁর মেয়ে গ্রেপ্তারির আট মাসের গর্ভবতী ছিলেন। নূন্যতম মানবিকতা দেখা যাচ্ছে না কেন্দ্রের আচরণে।