সুরুলের মন্দিরগুলো বহন করছে ঐতিহ্যবাহী টেরাকোটা শিল্পের নিদর্শন

মন্দিরের দেওয়ালে রয়েছে টেরাকোটার কাজ। ত্রিখিলান প্রবেশপথে বর্ণিত হয়েছে রাম-রাবণের যুদ্ধের দৃশ্য।

September 22, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বোলপুরের অদূরে ছোট্ট গ্রাম সুরুল। গ্রামের সরকার বাড়ি সুরুল রাজবাড়ি হিসেবে পরিচিত। গ্রামের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে প্রাচীন গ্রাম বাংলার সংস্কৃতির নিরদর্শন। রয়েছে টেরাকোটার তিনটি মন্দির। ১৮৩০ সালে সরকার বাড়ির লক্ষ্মী-জনার্দন মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পশ্চিমমুখী এই মন্দির পঞ্চরত্ন স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত। মন্দিরের দেওয়ালে রয়েছে টেরাকোটার কাজ। ত্রিখিলান প্রবেশপথে বর্ণিত হয়েছে রাম-রাবণের যুদ্ধের দৃশ্য। অন্য একটি খিলানে রামচন্দ্রের অভিষেকের ছবি খোদাই করা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সিংহাসনে বসে রয়েছেন রাম-সীতা। তাঁদের প্রণাম করছেন জাম্বুবান সহ অন্য বানর সম্রাটরা।

মহর্ষি বাল্মীকি ও অন্যান্য মুনি-ঋষিদের যজ্ঞ অনুষ্ঠানের ছবিও খোদাই করা রয়েছে। অন্তঃপুরের রমণীদের প্রসাধনের দৃশ্যও খিলানে খোদিত রয়েছে। আরেকটি খিলানে দেখা যায় রাবণরাজাকে। রণভূমে হনুমানের সঙ্গে রাক্ষস বাহিনীর লড়াইয়ের দৃশ্যও রয়েছে।

পঞ্চরত্ন মন্দিরের পাশে রয়েছে আরও দু’টি মন্দির। ১৮৩১ সালে এই দু’টি নির্মিত হয়েছিল। এই মন্দিরগুলিতেও রমায়ণের নানা মুহূর্ত বর্ণিত রয়েছে। অন্যান্য মূর্তিও টেরাকোটায় খোদাই করা হয়েছে। মন্দির দু’টিতে রয়েছে শিবলিঙ্গও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen