নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীদের মানভঞ্জন করে প্রচারে আনছে তৃণমূল

জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রার্থী তালিকা বিভ্রাট সহ একাধিক ইস্যুতে ভোট মরশুমে নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে যাওয়া মুষ্টিমেয় নেতা-কর্মীদেরও ভোটপ্রচারে কাজে লাগানো হচ্ছে।

February 18, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

দলের কাছে সকলেরই গুরুত্ব রয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষস্তর থেকে সেই বার্তা আগেই এসেছে। ক্রমান্বয়ে দলের সেই বার্তাকেই ভোট মরশুমে বাস্তবায়িত করতে উঠেপড়ে লেগেছে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রার্থী তালিকা বিভ্রাট সহ একাধিক ইস্যুতে ভোট মরশুমে নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে যাওয়া মুষ্টিমেয় নেতা-কর্মীদেরও ভোটপ্রচারে কাজে লাগানো হচ্ছে। কারণ দল কাউকে পেছনে ফেলে সামনে এগয় না। সকলকে সঙ্গে নিয়েই এগতে চায়। এ জন্য ময়দানে নেমেছেন জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ নিজেই।

গত সপ্তাহ থেকে শহরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে সমস্ত নিষ্ক্রিয় নেতা-কর্মীকে উজ্জীবিত করছেন। তাঁদের অভিমানের কারণ নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে শুধু তিনি একা নন, সঙ্গে টাউন ব্লকের সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ জেলা ও শহরের নেতাদের নিয়ে ঘরে বসে থাকা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন তাঁরা। জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, সকলের কাছে একটাই বার্তা দিচ্ছি। আমরা সকলে দলের কর্মী। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রী সবসময় দলের নেতা-কর্মীদের জন্য দরদি। তাঁর প্রমাণ বহুবার মিলেছে। প্রার্থী হতে না পেরে অভিমানে যাঁরা ঘরে বসে আছেন বা দলের কোনও সিদ্ধান্তে মনোক্ষুণ্ণ হয়েছেন তাঁদেরও আমরা প্রচারে কাজে লাগাচ্ছি। শহরের ৯, ২০ এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে কিছু ক্ষোভ ছিল। মহুয়া বলেন, সেই ওয়ার্ডগুলিতে আমি যাই। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নিয়ে ওয়ার্ডের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। সেখানে সদ্য সিপিএম থেকে আসা প্রমোদ মণ্ডলকে দল প্রার্থী করেছে। যা নিয়ে কয়েকজন মনোক্ষুণ্ণ হয়ে প্রচারে যাচ্ছিলেন না। বৃহস্পতিবার তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দলের কার্যকলাপে যুক্ত হওয়ার জন্য বলি। একই সমস্যা ছিল ২০ এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডেও।

সেখানেও অভিমান করে থাকা কর্মীদের সঙ্গে দলের চিন্তাধারা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করি। জেলা সভানেত্রীর কথায়, দল সকলকে সঙ্গে নিয়ে এগনোর পক্ষপাতী। কেউ অভিমান করে ঘরে বসে থাকলে তাঁকে, বুঝিয়ে আনার দায়িত্বও দলের কর্মীদের। এতে দল আরও সংঘবদ্ধ হবে। একইসঙ্গে ১৫, ২২, ২১, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডেও গিয়ে এদিন বাড়ি বাড়ি ঘোরেন দলের নেতারা। প্রসঙ্গত, তালিকা বিভ্রাটের কারণে জলপাইগুড়ি শহরে মাত্র দু’টি ক্ষেত্রে ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসে। একটি ১ নম্বর ওয়ার্ড ও দ্বিতীয়টি ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। প্রথম তালিকায় নাম থাকলেও দ্বিতীয় তালিকায় মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ছিল না। যারপরই দলের বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে যান মলয়বাবু। যারপর প্রশাসনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে এবং জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। বৃহস্পতিবারই সেই মলয় বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা তৃণমূলের মুখপত্র দুলাল দেবনাথের মধ্যস্থতায় জানিয়েছেন, তিনিও দলের সঙ্গেই আছেন। এদিন মলয়বাবুর হাতে দুলালবাবু গীতা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি তুলে দেন। তাঁকে মিষ্টিমুখ করান। একইভাবে শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকেও নির্দল হিসেবে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা ছিল পৌলমী সাহার। এ ক্ষেত্রেও আলোচনার মাধ্যমে ঘরোয়া ইস্যু মিটিয়ে ফেলা হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen