তৃণমূল কর্মী খুনে প্রধান অভিযুক্ত সিপিএম সমর্থককে ফাঁসির নির্দেশ দিল আদালত
২০১১ সালে আরামবাগের গোঘাটের সাওড়া ইউনিয়ন হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচন ছিল। নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছিল।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:১৬: বিচার পেতে সময় লাগল ১৪ বছর! দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর গোঘাটের তৃণমূল কর্মী খুনে আইনি সাজা শোনাল আদালত। তৃণমূল কর্মী খুনে প্রধান অভিযুক্ত সিপিএম সমর্থককে ফাঁসির নির্দেশ দিল আরামবাগ মহকুমা আদালত। একই সঙ্গে ওই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আরও ১৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
২০১১ সালে আরামবাগের গোঘাটের সাওড়া ইউনিয়ন হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচন ছিল। নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর সাওড়া ইউনিয়ন হাইস্কুলের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূল নেতা শেখ নইমুদ্দিনকে। সেই ঘটনায় প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়। মৃতের স্ত্রীর তরফে গোঘাট থানায় ৩০ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। তৃণমূল কর্মী খুনে গোঘাটের তৎকালীন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক, তৎকালীন সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ভাস্কর রায়, দেবু চট্টোপাধ্যায়ের নামও জড়িয়েছিল। এছাড়াও অভিযোগে নাম ছিল একাধিক সিপিএম নেতা-কর্মীর।
পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। আরামবাগ মহকুমা আদালতে এই মামলা ওঠে। অ্যাডিশনাল সেশন জজ কোর্টের বিচারপতি শিশিরকুমার আগরওয়ালের এজলাসে এই মামলার শুনানি চলে। এদিকে পুলিশের তদন্তে একাধিক তথ্য সামনে আসতে থাকে। পুলিশের পক্ষ থেকে চার্জশিট ফাইল করা হয়। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলে এই মামলা। মামলা চলাকালীন চারজন অভিযুক্ত মারা যান।