প্রচারের আলোয় রেড ভলান্টিয়াররা, নিঃশব্দে জনসেবায় পিছিয়ে নেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ
যশের পরে সুন্দরবন এলাকায় দল নিয়ে গিয়েছিলেন টিএমসিপি’র চিকিৎসক সেলের আহ্বায়ক কুলদীপ বটব্যাল।

কোভিড পর্বে রেড ভলান্টিয়াররাই নিয়ে চলে যাচ্ছে প্রচারের যাবতীয় আলো। এই অবস্থায় আর্তের সেবায় তাদের পিছনে ফেলতে গা ঝাড়া দিয়ে নেমেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারাও যে শামিল, সেটা এবার সামনে আনার চেষ্টা করছে নেতৃত্ব। শুধু শামিলই নয়, অন্যান্য সংগঠনের চেয়ে তারা কোনও অংশে কম নয়, এমনই দাবি করছেন নেতারা।
লকডাউনে গরিব মানুষের মধ্যে খাবার বিলি করাই হোক বা যশ-বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে পৌঁছনো, সবেতেই আছে টিএমসিপি (TMCP)। পাশাপাশি অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা, অক্সিজেন পার্লার চালু, রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করার মতো কাজ তো আছেই। যশের সময় জেলার মহকুমা ও সদর শহর সহ ২৬টি জায়গার জন্য রীতিমতো কল সেন্টার চালিয়েছিল তারা। প্রত্যেক জায়গার জন্য দেওয়া ছিল তিনটি করে নম্বর। শুধু যশ নয়, কোভিড সংক্রান্ত সাহায্য চেয়েও করা যাবে ফোন। সংগঠনের নিজস্ব ফেসবুক পেজেও দেওয়া আছে সেই নম্বরগুলি। প্রতিটি জেলার একাধিক জায়গায় গবির মানুষকে খাওয়ানো বা ফুট প্যাকেট দেওয়ার কর্মসূচিও চালাচ্ছে তারা।

যশের পরে সুন্দরবন এলাকায় দল নিয়ে গিয়েছিলেন টিএমসিপি’র চিকিৎসক সেলের আহ্বায়ক কুলদীপ বটব্যাল। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫০ জনের জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করেছিলাম। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ছিলেন। বাঁধ, আলের উপর, একটু উঁচু জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অসংখ্য মানুষকে বসে থাকতে দেখেছি। তাঁদের খাদ্যসামগ্রী, জামা-কাপড়ের পাশাপাশি মাস্ক এবং স্যানিটাইজারও দেওয়া হয়েছে। উম-পুনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কলকাতা থেকে সুন্দরবন অঞ্চলে গিয়ে ত্রাণ দিয়ে আসার পর সেই সব অঞ্চলে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছিল। তাই এবার আমরা বাড়তি সতর্ক ছিলাম এবং সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছিলাম। আমরা সুন্দরবন এবং যশ-বিধ্বস্ত বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে কাজ করেছি। তাহলে কি রেড ভলান্টিয়ারদের পিছনে ফেলছেন? কুলদীপ বলেন, আমরা সেবায় বিশ্বাসী, বিপণনে নয়। কাউকে ছোট না করেই বলছি, অনেকে বিপণনে বেশি জোর দিচ্ছেন। একই দাবি করছেন জেলায় জেলায় ঘুরে কাজ করা টিএমসিপি’র রাজ্য সহ-সভাপতি প্রান্তিক চক্রবর্তীও।


টিএমসিপি’র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য (Trinankur Bhattacharya) বলেন, যাঁরাই কোভিড পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছেন, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ধন্যবাদ। তবে টিএমসিপি বড় সংগঠন। প্রতিটি জেলায় আমরা শক্তিশালী। তাই আমাদের কাজ করার ক্ষমতা বেশি। ফলে এটা বলতে পারি, সবার চেয়ে আমরা এগিয়ে না থাকি, কোনও অংশে পিছিয়ে নেই।