হঠাৎ ঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ সন্দেশখালির দুই গ্রাম, ভাঙল শতাধিক বাড়ি, আহত বহু
![]()
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২১:০০: দশমীর বিকেলে মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়েই তছনছ হয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির দুই গ্রাম। প্রবল দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির দাপটে ভেঙে পড়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি, আহত হয়েছেন বহু মানুষ। বিদ্যুতের ১৫-২০টি খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে এলাকায়। স্থানীয় প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ইতিমধ্যেই এলাকায় পৌঁছেছে, শুরু হয়েছে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ।
সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘলা, দুপুরের পর থেকেই বৃষ্টির দাপট বাড়তে থাকে। বিকেল নাগাদ হঠাৎই শুরু হয় প্রবল ঝড়, যার তাণ্ডবে সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, বহু গাছ উপড়ে পড়েছে, কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে একের পর এক।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ বুধবার মধ্যরাতে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সেই সিস্টেম ওড়িশা ও সংলগ্ন অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করার সময় তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে বাংলায়। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই দুর্যোগ আগামী কয়েকদিন চলতে পারে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতাতেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হালকা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইতে পারে। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি জেলাগুলিতে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে, ধস নামার আশঙ্কাও রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এমন হঠাৎ ঝড়ের জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলেন না। বহু পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। ঝড়ে বিধ্বস্ত সন্দেশখালির গ্রামগুলিতে ত্রাণ পৌঁছনোর কাজ শুরু হয়েছে স্থানীয় বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর তত্ত্বাবধানে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের পাশে প্রশাসন ও তিনি ব্যক্তিগতভাবে থাকবেন।