পর্যটন শিল্পের ভবিষ্যৎ অন্ধকার, মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ পর্যটন ব্যবসায়ীরা

করোনার ধাক্কায় প্রশ্নের মুখে পর্যটন শিল্পের ভবিষ্যৎ। পরিস্থিতি যতটা তাড়াতাড়িই স্বাভাবিক হোক না কেন, আগামী দেড়শো দিনের মধ্যে কোনও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না উত্তরবঙ্গের চার জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দৈনিক ১৫-১৬ লক্ষ টাকার লোকসান হচ্ছে ওই চার জেলার পর্যটন শিল্পে। প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমকে ধরলে ওই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কা।

May 6, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

করোনার ধাক্কায় প্রশ্নের মুখে পর্যটন শিল্পের ভবিষ্যৎ। পরিস্থিতি যতটা তাড়াতাড়িই স্বাভাবিক হোক না কেন, আগামী দেড়শো দিনের মধ্যে কোনও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না উত্তরবঙ্গের চার জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দৈনিক ১৫-১৬ লক্ষ টাকার লোকসান হচ্ছে ওই চার জেলার পর্যটন শিল্পে। প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমকে ধরলে ওই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কা।

বেসরকারি পর্যটন সংস্থাগুলির তথ্য অনুসারে ওই চার জেলায় রিসর্ট, হোটেল ও হোম স্টে মিলিয়ে পর্যটকদের জন্য মোট ৪৫ হাজার মাথাগোঁজার ঠাঁই রয়েছে। মালিকপক্ষকে বাদ দিলেও ওই পর্যটনকেন্দ্রগুলির সঙ্গে সরাসরি ভাবে জড়িত ২৬ হাজার কর্মচারী। লকডাউনের বাজারে ওই কর্মীদের মাস মাইনে দিতে গিয়েই দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের। এর বাইরেও রয়ে গিয়েছে রিসর্ট, হোটেল ও হোমস্টেগুলির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ, বিদ্যুত বিল, ব্যাঙ্ক ঋণের ইএমআই, জিএসটি। ফলে লকডাউন যতই বাড়ছে, ততটাই দিশেহারা হয়ে পড়ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

পর্যটন শিল্পের ভবিষ্যৎ অন্ধকার, মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ পর্যটন ব্যবসায়ীরা

গত দুই বছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, পাহাড়-তরাই ও ডুয়ার্সের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে সারা বছরে কমপক্ষে সাড়ে সাত লক্ষ দেশি ও চল্লিশ হাজার বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। হালে যা শূন্যে এসে ঠেকেছে। এমনকী, আগামী আট মাসের আগাম বুকিং বাতিলের হার ৯০% এর উপরে পৌঁছে গিয়েছে। ভবিষ্যতে তা যে একশো শতাংশে পৌঁছে যাবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

পুজোর মরসুম তো দূরের কথা, আগামী শীতের মরসুমেও সাধারণ পর্যটকদের মাথা থেকে করোনার ভূত সরবে কি না, তাই নিয়েই সন্দিহান পর্যটন ব্যবসায়ীরা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নিজেদের অসহায় অবস্থার কথা জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন ওই চার জেলার মুখ্য পর্যটন সংস্থার কর্তারা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen