সামনেই ট্রাম্প-জিনপিং বৈঠক, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে একটাই পণ্য – কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

October 2, 2025 | < 1 min read
Published by: Saikat

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:০৫: আমেরিকার কৃষক সংকটকে সামনে রেখেই ফের চীন কে চাপ দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে। আলোচনার মূল বিষয়- মার্কিন সয়াবিন কেনা।

ট্রাম্প নিজের ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লেখেন, ‘‘আমাদের দেশের সয়াবিন চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, কারণ চীন সয়াবিন কেনা নিয়ে কোনও সমঝোতায় আসছে না।’’ তিনি জানান, সিউলে আয়োজিত এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (APEC) সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক হবে। পাশাপাশি আগামী বছর চীন সফরের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের মতে, সয়াবিনই দুই দেশের বাণিজ্যিক টানাপোড়েন কমাতে বড় ভূমিকা নিতে পারে।

ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের শুল্ক-সংঘাত এখনও কৃষিক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলছে। একসময় মার্কিন সয়াবিনের অন্যতম বড় বাজার ছিল চীন । কিন্তু প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের পর মার্কিন সয়াবিন বিক্রি কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। চীন এখন ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে বিপুল সয়াবিন আমদানি করছে।

আমেরিকান সয়াবিন অ্যাসোসিয়েশন (ASA) জানিয়েছে, নতুন মরশুমে চীন একটিও মার্কিন সয়াবিন কেনেনি। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ক্যালেব র‌্যাগল্যান্ডের অভিযোগ, ‘‘ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা এখন আমাদের বাজার দখল করছে। এর ফল ভোগ করছেন আমাদের কৃষকরা।’’

কৃষকদের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দিতে ট্রাম্প বলেছেন, শুল্ক থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের একটি অংশ কৃষকদের সহায়তায় ব্যবহার করা হবে। তাঁর অভিযোগ, আগের প্রশাসন জো বাইডেনের আমলে চীনের সঙ্গে সই হওয়া বাণিজ্যচুক্তি কার্যকর হয়নি।

প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনই কৃষকদের বড় ক্ষতি হয়েছিল। ২০১৮-১৯ সালে প্রতিশোধমূলক শুল্কে মার্কিন কৃষিপণ্যের রফতানিতে ক্ষতি হয়েছিল প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্প-শি বৈঠকে সয়াবিন ইস্যুতে সমঝোতা হলে মার্কিন কৃষকরা স্বস্তি পেতে পারেন। তবে নতুন করে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen