ট্রাম্প এ বার দাবি করলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’-পর্বে অন্তত চার-পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছিল
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর তার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করেছিল ভারত।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:০০ : মে মাসে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার (Pahalgam terror attack) পর ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) শুরু করে। কয়েকদিন পরই, ১০ মে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়। তার পর ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল এ কে ভরতি জানান, পাক বায়ুসেনার একাধিক হাই-টেক যুদ্ধবিমান ভারত গুলি করে নামিয়েছে। তবে তিনি নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ((Donald Trump) এ বার দাবি করলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’-পর্বে দু’দেশের সংঘাতে অন্তত চার-পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছিল। তবে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড পরবর্তী পর্যায়ে গত ৭-১০ মে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে কোন দেশের ক’টি বিমান ধ্বংস হয়েছিল, সে বিষয়ে কিছু বলেননি ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসে রিপাবলিকান নেতাদের সঙ্গে একটি নৈশভোজে এই মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আসলে বিমানগুলি আকাশ থেকে গুলি করে নামানো হচ্ছিল। ৫টি, ৪টি, না ৫টি বিমানই গুলি করে নামানো হয়েছিল। আসলে ৫টিই।”
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর তার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করেছিল ভারত। প্রত্যাঘাতের অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ গত ৬ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারতীয় বাহিনী। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। এর পর পাকিস্তানও পাল্টা হামলা চালায়। দুই দেশের মধ্যে টানা চার দিন সংঘর্ষ চলে। গত ১০ মে ভারত এবং পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন (ডিজিএমও) স্তরে পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে এই সংঘর্ষবিরতি হয়।
পাকিস্তান দাবি করে, ভারতের ছ’টি যুদ্ধবিমান তারা গুলি করে নামিয়েছে— যার মধ্যে রাফালও আছে। যদিও পাক বায়ুসেনার একটি বিমান সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়া আর কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই দাবি করেছে ইসলামাবাদ।
এদিকে ওই নৈশভোজে ট্রাম্প ফের দাবি করেন, ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ তিনি রুখেছিলেন বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে। তাঁর কথায়, “আমরা অনেক যুদ্ধ থামিয়েছি। এরা (ভারত-পাক) পরস্পরের উপর হামলা চালাচ্ছিল। পরিস্থিতি জটিল হচ্ছিল। কিন্তু আমরা বাণিজ্যের মাধ্যমে সেটি সমাধান করেছিলাম।” এবার যুদ্ধবিমান ধ্বংসের তথ্য দিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন ট্রাম্প।