কার্যকর ট্রাম্পের ৫০% শুল্ক : ভারতের শেয়ারবাজারে ধস
ভারতের পণ্য রপ্তানির উপর ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক (US import duty) কার্যকর করল আমেরিকা।

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি,০৮:৪০: ভারতের পণ্য রপ্তানির উপর ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক (US import duty) কার্যকর করল আমেরিকা। ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) এই সিদ্ধান্তে মঙ্গলবার থেকেই ধস নামল ভারতের শেয়ার বাজারে।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২৭ অগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চালু হয়েছে। একইসঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে, প্রয়োজনে শুল্ক আরও বাড়তে পারে। ভারত ও ব্রাজিলের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ কার্যকর করেছে আমেরিকা। এর ফলে ভারতের রপ্তানিতে (India exports) অন্তত ৮,৭০০ কোটি ডলার লোকসানের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রথম প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে (Stock market crash)। মঙ্গলবার সেনসেক্স এক ধাক্কায় পড়ে যায় প্রায় ৮০০ পয়েন্ট (Sensex falls 800 points)। টাকার দামও দুর্বল (Rupee depreciation) হয়ে পড়ে ডলারের তুলনায়। আতঙ্কে মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual fund) ও এসআইপি (SIP) থেকে অর্থ প্রত্যাহার শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
টেক্সটাইল, রেডিমেড গার্মেন্টস (Ready-made garments) ও জুয়েলারি শিল্প (Jewellery) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা। এই তিন সেক্টরের ৩৫ শতাংশ রপ্তানি যায় আমেরিকায়। বছরে প্রায় ৬,৬০০ কোটি ডলারের ব্যবসা ঝুঁকিতে পড়তে চলেছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশন (Federation of Indian Export Organisations -FIEO)জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই সুরাত (Surat textile units), তিরুপুর (Tirupur textile industry) ও নয়ডার (Noida factories) বহু টেক্সটাইল ইউনিট উৎপাদন (Textile industry) বন্ধ করেছে। মার্কিন অর্ডার কমে গিয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।
পরবর্তী ধাক্কা আসতে পারে ‘সি ফুড’ (Seafood exports) খাতে, যেখানে ভারতের ৪০ শতাংশ রপ্তানি নির্ভর করে মার্কিন বাজারের উপর।
ভারতের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ক্ষোভের মূল কারণ রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল (Russia crude oil) কেনা। প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েও ভারতের অবস্থান বদলায়নি। তার পরেই আরও ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক (50% tariff) চাপানো হয়েছে।
এই সময়েই চীনে বসছে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলন (SCO summit China)। ২০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে মুখ্য ভূমিকা নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) ও জি জিনপিং (Xi Jinping)। রুশ ও চীনা সংবাদমাধ্যমের খবর, তিন দেশের নেতারা বৈঠকে বসতে পারেন। এজেন্ডা- ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের মোকাবিলা। বিশ্লেষকদের মতে, এই সম্মেলন থেকেই নতুন বিশ্বশক্তির সমীকরণের ইঙ্গিত মিলতে পারে।