ট্রাম্পের শুল্ক চাপ, রাশিয়ার ‘প্রিয় বন্ধু’ ভারতের ঘনিষ্ঠতায় বিশ্বে নয়া সমীকরণ!
বৈঠকের আগে তিনি মোদীকে ডাকেন ‘প্রিয় বন্ধু’ বলে, এমনকি নিজের লিমোজিনে বসান। সেই দৃশ্য মুহূর্তে ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১.১০: মার্কিন শুল্ক যুদ্ধের আবহে আরও কাছাকাছি এল দিল্লি ও মস্কো। সোমবার সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (SCO) সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানালেন, ভারত-রাশিয়ার বন্ধুত্ব বহু ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে আজও অটুট।
পুতিনের উষ্ণ অভ্যর্থনা ছিল তারই প্রতিফলন। বৈঠকের আগে তিনি মোদীকে ডাকেন ‘প্রিয় বন্ধু’ বলে, এমনকি নিজের লিমোজিনে বসান। সেই দৃশ্য মুহূর্তে ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল রপ্তানিকারক দেশ। তাদের বড় ক্রেতাদের তালিকায় ভারত ও চিন সবার উপরে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর রুশ তেল কেনার দায়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে ২৫ শতাংশ ও পরে আরও ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক চাপান ভারতীয় পণ্যের উপর। ওয়াশিংটন হুঁশিয়ারি দেয়, মস্কোর সঙ্গে ব্যবসা চললে নতুন করে নিষেধাজ্ঞাও আসতে পারে। তবু থেমে থাকেনি দিল্লি। আমেরিকার শুল্ক সত্ত্বেও তেল আমদানি চালিয়ে যাচ্ছে ভারত ও চীন উভয়েই।
এই পরিস্থিতিতেই তিয়ানজিনে মোদীর বার্তা, “সবচেয়ে কঠিন সময়ে ভারত-রাশিয়া কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে। আমাদের সহযোগিতা শুধু দুই দেশের জন্য নয়, বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যও জরুরি।” একইসঙ্গে যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানান পুতিনকে। তাঁর কথায়, “মানবতার খাতিরে দ্রুত স্থায়ী শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে। ভারত গঠনমূলক সব পদক্ষেপকে স্বাগত জানায়।”
ওয়াশিংটনের উদ্বেগও ধরা পড়ছে প্রকাশ্যে। হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পিটার নাভারো মন্তব্য করেছেন, “ইউক্রেনে শান্তির রাস্তা দিল্লি দিয়েই যায়।” কূটনৈতিক মহলের মতে, এই বক্তব্য আসলে ভারতের উপর চাপ তৈরিরই কৌশল।
তবে দিল্লির অবস্থান স্পষ্ট, এই শুল্ক আরোপ অন্যায্য এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির বিরোধী। সরকারি বিভিন্ন মহল আশাবাদী, দেশীয় বাজারের শক্তি আর বিকল্প কৌশলের উপর ভরসা করেই অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে পারবে ভারত।