পার্কিং লটেই বোমা বানানোর কাজ সারেন উমর, দিল্লির আর অন্য কোন এলাকা ছিল তালিকায়?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:১৪: দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে এবার আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের দাবি, ঘটনার ঠিক আগে লালকেল্লার পার্কিং লটে গাড়ির ভেতরেই দীর্ঘ সময় ধরে বোমা জোড়া দেওয়ার কাজ করেছিল আত্মঘাতী জঙ্গি উমর উন-নবি ওরফে উমর মহম্মদ। বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করতেও দেখা যায় তাকে। সেই সময় জঙ্গি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বজায় রাখছিল উমর।
সিসিটিভি ফুটেজে ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে বিস্ফোরণের আগে উমরের চলাফেরা। জানা গিয়েছে, সুনহেরি মসজিদ থেকে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে পৌঁছে বিস্ফোরণ ঘটায় সে। তদন্তকারীদের অনুমান, ঘটনার দিনই হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার এবং কয়েকজন সন্দেহভাজনের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে দ্রুত হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় উমর।
তদন্ত সূত্রের দাবি, সকাল থেকেই উমর নিয়মিত নির্দেশ পাচ্ছিল হ্যান্ডলারদের কাছ থেকে—কোথায় হামলা করা হবে, কোন জায়গা বেশি উপযুক্ত, এসব নিয়েই চলছিল পরিকল্পনা। সেই কারণে সেদিন সকালেই ময়ূর বিহার থেকে কনট প্লেস পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে যায় সে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বেছে নেওয়া হয় লালকেল্লার পার্শ্ববর্তী এলাকা। কারণ, সোমবার লালকেল্লা বন্ধ থাকায় পার্কিং লট তুলনামূলকভাবে ফাঁকা থাকে, ফলে বোমা তৈরি ও বাঁধার কাজ সহজ হয়।
এদিকে বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে এনআইএ দেশজুড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে। শ্রীনগর-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাঁরা অধিকাংশই কাশ্মীরের। ধরা পড়েছে দুই প্রধান ষড়যন্ত্রীও। পাশাপাশি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়কেও স্ক্যানারে রেখেছে তদন্তকারী সংস্থা। দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ‘হোয়াইট কলার টেরর’ চক্রের ভয়াবহ দিক একে একে সামনে আসছে।