ভোটার ছবি বাধ্যতামূলক নয়, তবে বাড়ি গিয়ে ছবি তুলতে হবে BLO-দের: কমিশন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:২০: SIR নিয়ে রাজ্যে ফের নয়া নিয়ম লাগু করল কমিশন। এক নির্দেশিকায় কমিশন জানিয়েছে, ভোটারদের ছবি দেওয়া বাধ্যতামূলক নয় ঠিকই, তবে প্রতিটি ভোটারের বাড়ি গিয়ে তাঁদের ছবি তুলতে হবে বুথ স্তরের আধিকারিকদের (BLO)। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, নির্দিষ্ট অ্যাপ (APP) ব্যবহার করে ভোটারদের ছবি সংগ্রহ করতে হবে। এনুমারেশন ফর্মে (Enumeration Form) যদি স্পষ্ট ছবি আগে থেকেই থাকে, তবে নতুন করে ছবি তোলার প্রয়োজন নাও হতে পারে। যাঁদের ছবি তোলা সম্ভব হবে না, তাঁদের পুরনো ছবি দিয়েই ফর্ম জমা পড়বে।
কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যের প্রায় ৮০ লক্ষ ভোটারের এনুমারেশন ফর্ম ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করে ডিজিটাইজ করা হয়েছে। ভুয়ো বা নকল ভোটারদের (Fake Voter) আটকাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) পরিচালিত সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে, যা ভোটারের মুখের ছবির উপর ভিত্তি করে কাজ করবে। সেই কারণেই প্রতিটি ভোটারের ছবি (Voter’s photo) তুলতে বিএলও-দের (BLO) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মৃত, স্থানান্তরিত বা ভোটার তালিকায় দু’বার নাম থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে হবে বিএলও-দের। বুথ লেভেল এজেন্টরা (BLA) প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০টি ফর্ম জমা দিতে পারবেন এবং তাঁদের নিশ্চিত করতে হবে যে ভোটাররা তাঁদের উপস্থিতিতে সই করেছেন। ফর্মে ভুল তথ্য দিলে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৩১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা হতে পারে। একইভাবে, যাচাই প্রক্রিয়ায় ভুল থাকলে ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিএলও-দেরও শাস্তি হতে পারে।
এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজ (Digitize) হওয়ার ফলে সব তথ্য, নথি, নাম, স্বাক্ষর ও ছবি ডিজিটাল রেকর্ডে থাকবে। ভুল তথ্য দিলে সহজেই তা চিহ্নিত করা যাবে। ফর্মে ভুল থাকলে কেটে দিয়ে পাশে সঠিক তথ্য লিখতে হবে।
যাঁরা এখনও এনুমারেশন ফর্ম পাননি, তাঁদের ২০২৫ সালের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, তাঁরা টোল ফ্রি নম্বর ১৯৫০ বা ০৩৩-২২৩১-০৮৫০ নম্বরে ফোন করতে পারবেন। এছাড়া নাম, বিধানসভা কেন্দ্র, পার্ট নম্বর ও সিরিয়াল নম্বর লিখে ৯৮৩০০৭৮২৫০ নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপও (WhatsAPP) করা যাবে। যোগাযোগের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ৪ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration Form) বিলি শুরু হয়েছে। বুথ স্তরের আধিকারিকেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দিয়ে আসছেন। ২০০২ সালের ভোটার তালিকা দেখে সেই অনুযায়ী ফর্ম পূরণ করতে হচ্ছে। পরে তা কমিশনের নির্দিষ্ট অ্যাপে আপলোড করছেন বিএলওরা। রবিবার রাতের বুলেটিনে কমিশন জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৯৯ শতাংশের বেশি এনুমারেশন ফর্ম বিলি হয়ে গিয়েছে।