Waqf Amendment Act সংখ্যালঘুদের অধিকারকে খর্ব করছে, সরব তৃণমূল সাংসদ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:১৮: সোমবার, ওয়াকফ সংশোধনী আইনে (Waqf Amendment Act, 2025) সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ না-দিলেও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আংশিক স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। যেমন, নয়া আইনের একটি শর্তে ছিল, কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসেবে দান করার জন্য দাতাকে পাঁচ বছরের জন্য মুসলমান ধর্মাচারণ করতে হবে। এই শর্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের এহেন ভূমিকায় কিছুটা হলেও খুশি বিরোধীরা।
ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন নিয়ে মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brien)। সংসদে ওয়াকফ বিল পাশ করানোকে ডেরেক নিজের ব্লগে চালাকি ও ছলনাময় কৌশল হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, একেবারে শেষ মুহূর্তে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে (JPC) বিলটি পাঠানো হয়েছিল। কমিটির বিরোধী সদস্যদের সুপারিশগুলো কীভাবে মুছে ফেলা হয়েছিল তাও লিখেছেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি আরও বলেন, বিলটি গভীর রাতে পাশ করা হয়েছে, রাজ্যসভায় আলোচনা হয় প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত। লোকসভায় রাত ১টা পর্যন্ত চলে আলোচনা।
বিজেপি তথা মোদী আমলে ক্রমবর্ধমান ‘কাস্টমাইজড, টার্গেটড’ আইন তৈরির প্রবণতাকে আক্রমণ করেছেন ডেরেক। তাঁর মতে, এই ধরনের আইনের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের উপর অসামঞ্জস্যপূর্ণ বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। উদ্বিগ্ন ডেরেকের মত, রাষ্ট্র যখন কোনও সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে কে যোগ্য তা নির্ধারণের অধিকার গ্রহণ করে, তখন দৃষ্টান্ত তৈরি হয় যে পরিচয়, নাগরিকত্ব, বিশ্বাস এবং অধিকার, এই সবকিছুই রাষ্ট্র খর্ব করতে পারে। যখন রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেয়, কে গুরুত্বপূর্ণ আর কে নয়, তখন গণতন্ত্র নিজেই ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।
রাজ্যসভার সাংসদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের উচিত ওয়াকফ সংশোধনী আইনের সাংবিধানিক বৈধতা এবং মৌলিক বিষয়গুলো প্রশ্ন তোলা। তাঁর প্রশ্ন, নয়া ওয়াকফ আইন সাম্যের নীতি (ধারা ১৪), ধর্মীয় স্বাধীনতা (ধারা ২৫ এবং ২৬) এবং ধর্মীয় বৈষম্য নিষিদ্ধকরণ (ধারা ১৫) লঙ্ঘন করে কি-না?
ডেরেক ও’ব্রায়েনের মতে, আইনের মূল শর্তগুলোর উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে আদতে শীর্ষ আদালত আইনের সমালাচনা করেছে। তাঁর মতে, এই আইন “subterfuge legislation”। এ ধরনের বেছে বেছে আইন তৈরি সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার উপর প্রশ্ন তুলছে।