বাংলায় চিরাচরিত ছন্দে মাতৃভাষা দিবস পালন মুখ্যমন্ত্রীর, শ্রদ্ধায় স্মরণ প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে
নাম না করেও হাল আমলের বাংলাদেশ ও তার সাংস্কৃতিক অবনমনকেই ইঙ্গিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশে এ বছর নম নম করে ভাষা দিবস পালিত হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চিরাচরিত ছন্দে মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হল বাংলায়। কলকাতায় দেশপ্রিয় পার্কে রাজ্য সরকারের আয়োজনে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান চলল। নাম না করে বাংলাদেশের ভূমিকার সমালোচনা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী গলায়। অনুষ্ঠান শেষে জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হল অমর একুশে উদ্যান।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও দেশপ্রিয় পার্কের অমর একুশে উদ্যানে পালিত হল আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস। এবারের ভাষা দিবস উৎসর্গ করা হয়েছে সদ্যপ্রয়াত সঙ্গীতকার প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে। তাঁর ছবিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে, রাজ্য সঙ্গীত বাংলার মাটি বাংলার জল গেয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। মঞ্চে প্রতুলবাবুর স্ত্রীকে নিজের পাশে বসান মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই গাওয়া হল প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত গান ‘বাংলায় গান গাই’। মুখ্যমন্ত্রী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের জীবনের শেষ কয়েকদিনের কথা বলেন। এরপর তিনি বলেন, “ভাষা কারও একার কেনা নয়। সকলের কাছে সকলের মায়ের ভাষা প্রিয় হবেই। তা নিয়ে বাড়তি আবেগ থাকবে। আমরা এই দিনটাকে পালন করব না, তা তো হতেই পারে না। অন্য দেশের ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে পারব না। আমরা আমাদের কথাই বলতে পারি।” নাম না করেও হাল আমলের বাংলাদেশ ও তার সাংস্কৃতিক অবনমনকেই ইঙ্গিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশে এ বছর নম নম করে ভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর দেশপ্রিয় পার্কে অমর একুশে শহিদ বেদি তৈরি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতি বছর সেখানেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে থাকে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সেখানে যোগ দেন বাংলার গুণীজনরা। এবছরও তার ব্যতিক্রম হল না। এদিনের অনুষ্ঠানে জয় গোস্বামী শ্রদ্ধা জানালেন কবি ভাস্কর চক্রবর্তীর ‘বাংলা’ কবিতাটি পাঠ করে। কবি শ্রীজাত প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে তাঁর নতুন কবিতা পড়েন।