কাঁথির হাসপাতালে বাংলাদেশী ওষুধ! পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারই, জানালেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা
বুধবার সকাল থেকেই কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল থেকে ‘বাংলাদেশি’ ওষুধ দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল থেকে রোগীদের বাংলাদেশি ওষুধ দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। বুধবার সকাল থেকে হাসপাতাল থেকে এই ওষুধ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কীভাবে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে পৌঁছল বাংলাদেশি ওষুধ? মুখ খুললেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
বুধবার সকাল থেকেই কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল থেকে ‘বাংলাদেশি’ ওষুধ দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালের সুপার রজত পাল জানান, বহির্বিভাগের ওষুধের কাউন্টার থেকে আপাতত ‘বাংলাদেশি’ ওষুধ রোগীদের দেওয়া হচ্ছে না। তা বন্ধ রয়েছে। গোটা বিষয়টা দফতরকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত শীর্ষ আধিকারিকরা নেবেন।
এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ একটা সংস্থার থেকে গত বছরের জুন মাসে রাজ্যের সেন্ট্রাল মেডিসিন স্টোরে ওই ওষুধ সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশের তরফে ওই ওষুধ ভারতকে দেওয়া হয়েছিল। বিদেশমন্ত্রকের তরফে সেই ওষুধ ভারত পেয়েছিল। রাজ্যের সেন্ট্রাল মেডিসিন স্টোর থেকে সেই ওষুধ ছটি জেলায় সরবরাহ করা হয়। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালেও সেই ওষুধই পৌঁছেছে বলে দাবি রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তার।
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা সরকারি হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছিল ডক্সিসাইক্লিন নামের ওই অন্টিবায়োটিক ক্যাপসুল। যার পিছনে লেখা, “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ। ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয়” এই ওষুধ নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। সরকারি হাসপাতালে কীভাবে এই ধরনের নিষিদ্ধ ওষুধ এল? কার নির্দেশে সরকারি হাসপাতালে এই ওষুধ এল? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসকরা।