বাংলাভাষী শ্রমিক হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে বিধানসভায় রাজ্যের প্রস্তাবে কী বার্তা?

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাভাষীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগকে সামনে এনে সোমবার বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়

September 1, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১৮:৩৭: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাভাষীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগকে সামনে এনে সোমবার বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল ও বৃহস্পতিবার এ নিয়ে বিধানসভায় দু’দিন ধরে আলোচনা চলবে। প্রতিদিন দু’ঘণ্টা করে সময় নির্ধারিত হয়েছে। ওই দু’দিন প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকলেও ‘কলিং অ্যাটেনশন’ ও ‘মেনশন’ পর্ব থাকছে না। বৃহস্পতিবার আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অংশ নিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। ওই দিনই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকও রয়েছে।

সোমবার কার্যবিবরণী কমিটির বৈঠকের পর স্পিকার জানান, “পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বাংলাভাষীরা উদ্বেগে রয়েছেন। তাঁদের উপর হামলা ও হেনস্থার ঘটনা ঘটছে। তাই এই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করি, সব দল শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনায় অংশ নেবেন। বিষয়টি রাজনীতির নয়, ভাষা-সংস্কৃতির।”

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। কখনও মহারাষ্ট্র, কখনও হরিয়ানা ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। গত জুনে বিধানসভাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছিলেন, বাংলায় কথা বললেই “বাংলাদেশি” তকমা দেওয়া হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের ঘটনাও তখন উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

শোভনদেব এদিন প্রস্তাবনায় বলেন, “বাংলা একটি সংবিধান স্বীকৃত ভাষা। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী দেশের ৮.০৩ শতাংশ মানুষ বাংলায় কথা বলেন। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসমের বরাক উপত্যকায় বাংলা সরকারি ভাষা। আন্দামান, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মেঘালয়, মিজোরাম, ওড়িশা, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, সব জায়গাতেই বাংলাভাষী মানুষ বাস করেন। অথচ তাঁদের উপর শারীরিক আক্রমণ, মানসিক নির্যাতন এবং হেনস্থার ঘটনা ঘটছে।”

তাঁর অভিযোগ, বাংলাভাষী শ্রমিকদের অন্য রাজ্যে আটকে রাখা হচ্ছে, পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় হচ্ছে বা বাংলাদেশি তকমা দিয়ে দেশছাড়া করার চেষ্টা চলছে। নাম না করেই বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, “এই অমানবিক আচরণে শাসকদলের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদত রয়েছে। বাংলাভাষাকে বাংলাদেশি ভাষা বলা হচ্ছে, বাংলাভাষীদের বহিরাগত বলে চিহ্নিত করার চক্রান্ত চলছে।”

স্পিকারও নিজের অভিজ্ঞতা শোনান। তাঁর কথায়, “বাংলার বাইরেই শুধু নয়, বাংলাতেও দু-একটা ঘটনা ঘটছে। গতকাল দেখলাম, এক হিন্দিভাষী ব্যবসায়ী তাঁর কর্মচারীরা বাংলায় কথা বলায় বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। এটা একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen