সাইবার জালিয়াতি ও প্রতারণার ঘটনায় কেন্দ্রীয় ইকনমিক অফেন্সেস ইউনিটের নজরে কোন কোন ব্যাঙ্ক?

সাইবার জালিয়াতি ও প্রতারণার ঘটনায় কেন্দ্রীয় ইকনমিক অফেন্সেস ইউনিটের নজরে দশটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক। অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এ’সব ব্যাঙ্কে। ইকনমিক অফেন্সেস ইউনিট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। অ্যাকাউন্টগুলোয় বিপুল পরিমাণ লেনদেন হয়েছে। ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলায় শীর্ষে বিহার। এ ধরনের অপরাধ কীভাবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের নজর এড়াল, তা জানতে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে।

January 22, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সাইবার জালিয়াতি ও প্রতারণার ঘটনায় কেন্দ্রীয় ইকনমিক অফেন্সেস ইউনিটের নজরে দশটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক। অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এ’সব ব্যাঙ্কে। ইকনমিক অফেন্সেস ইউনিট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। অ্যাকাউন্টগুলোয় বিপুল পরিমাণ লেনদেন হয়েছে। ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলায় শীর্ষে বিহার। এ ধরনের অপরাধ কীভাবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের নজর এড়াল, তা জানতে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে।

সাইবার জালিয়াতরা প্রতারণার টাকা ডিপোজিটের জন্য বিভিন্ন নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। চাকরির বা কোনও আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান ইত্যাদি নথি জোগাড় করে; সেইসব নথিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ভুয়ো কোম্পানি খোলা হয়। সেসব কোম্পানির ডিরেক্টর করা হয় সব্জি বিক্রেতা, শ্রমিক বা একেবারে সাধারণ মানুষদের। ব্যাঙ্কে কোম্পানির নামে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলে তারা। এ’সব অ্যাকাউন্টে বিপুল লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। অন্যান্য অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর হয়।

ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম পোর্টালে জমা পড়া অভিযোগ খতিয়ে দেখে ইকনমিক অফেন্সেস ইউনিট। নথি ঘাঁটতে গিয়ে দশটি ব্যাঙ্ককে চিহ্নিত করেন তদন্তকারীরা। এই দশটি ব্যাঙ্কই বেসরকারি। ব্যাঙ্কের যে সব শাখায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলার অভিযোগ উঠেছে, তার সিংহভাগই পাটনায়। বাকি অ্যাকাউন্টগুলো রয়েছে বাংলা, ঝাড়খণ্ড ও তামিলনাড়ুতে। অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে ২০২৩ ও ২০২৪ সালের মধ্যে। সব মিলিয়ে ভুয়ো লেনদেন হয়েছে পাঁচ হাজার কোটি টাকার উপর।

ব্যাঙ্কগুলিকে চিহ্নিত করে তাদের সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে ইকনমিক অফেন্সেস ইউনিট।
ব্যাঙ্কগুলি নথি যাচাই না-করে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এমনকী, বিপুল লেনদেন হওয়া সত্ত্বেও তারা রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে কিছু জানায়নি। যাঁরা লেনদেনের অঙ্ক স্ক্রুটিনির দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের ভূমিকাও সন্দেহজনক বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen