নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সম্ভাবনা, প্রধান পদে কাকে চায় তরুণ প্রজন্ম?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:০০: নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই তৈরি হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান পদে সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছেন দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি (sushila karki)। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে Gen-Z-র প্রতিবাদের পর অনলাইনে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন পাঁচ হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণী। প্রাথমিকভাবে কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন শাহের নাম আলোচনায় থাকলেও তাঁর অনুপস্থিতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন সুশীলা কার্কি। তিনি সমর্থনের প্রমাণ হিসেবে এক হাজার লিখিত স্বাক্ষরের দাবি জানিয়েছিলেন, যা ইতিমধ্যেই ৫০০০ হাজার ছাড়িয়েছে।
বৈঠকে আলোচিত হয়েছেন আরও কয়েকজন – নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের প্রধান কুলমান ঘিসিং, যুবনেতা সাগর ঢাকাল, ধারান পৌরসভার মেয়র হার্কা সাম্পাং এবং ইউটিউবার র্যান্ডম নেপালি। তবে র্যান্ডম নেপালি জানিয়েছেন, অন্য কেউ রাজি না হলে তবেই তিনি পদ গ্রহণ করবেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্কি যদি প্রস্তাব গ্রহণ করেন, তবে তাঁকে প্রথমে সাক্ষাৎ করতে হবে সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেলের সঙ্গে। এরপর রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেলের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
৭২ বছর বয়সী সুশীলা কার্কি ২০১৬ সালে নেপালের (Nepal) প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে তিনি বিচারব্যবস্থায় যুক্ত হন এবং নির্ভীক, সৎ বিচারক হিসেবে পরিচিতি পান। তিনি ছিলেন সাংবিধানিক খসড়া প্রণয়ন কমিটির সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী বিচারপতি।
উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন ভয়াবহ রূপ নেয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২২ জনের মৃত্যু হয়। অগ্নিসংযোগ হয় পার্লামেন্ট ভবন, রাষ্ট্রপতির দপ্তর, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে। আক্রান্ত হন বিদেশমন্ত্রী ড. অর্জু রানা দেউবা।
এই পরিস্থিতিতে কার্কির নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার (Interim PM) গঠনের সম্ভাবনা নেপালের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে পারে।