১০০ দিনের কাজে বাংলার প্রাপ্য টাকা কেন এখনও বন্ধ? কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল পিএসি
দৃষ্টিভঙ্গি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি,১০:৩০: বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন এখনও আটকে রাখা হয়েছে-এই প্রশ্ন ঘিরেই বৃহস্পতিবার কলকাতায় উত্তাল হয়ে উঠল সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র বৈঠক। গুজরাতের মন্ত্রীর ছেলে ৭১ কোটি টাকার দুর্নীতির দায়ে জেলে গেলেও সেখানে নিয়মমাফিক টাকা যাচ্ছে, অথচ বাংলায় মাত্র ৪ কোটি ৯১ লক্ষ টাকার অনিয়মের অভিযোগেই প্রাপ্য বন্ধ রাখা হয়েছে, এ নিয়ে তোপ দাগেন কমিটির একাধিক সদস্য।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেন সাংসদরা। এমনকি গুজরাতের সাংসদ ও পিএসি সদস্য শক্তিসিন গাহিলও প্রকাশ্যে মোদী-শাহের রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের কাছ থেকে কোনও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তাই গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিটি।
কংগ্রেস সাংসদ কে সি ভেনুগোপালের নেতৃত্বাধীন এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুখেন্দু সেখর রায়, সৌগত রায়-সহ পিএসির অন্যান্য সদস্যরা। রাজ্যের তরফে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠকটি হয় শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে। রেল, কয়লা-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও বাংলার ১০০ দিনের কাজ নিয়েই সবচেয়ে তীব্র বাক্যবাণ ছোড়া হয়।
রাজ্যের রিপোর্ট বলছে, দেশের মধ্যে সর্বাধিক জবকার্ড বাংলায় আধারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আবার ভুয়ো কার্ড বাতিলের নিরিখেও বাংলা অনেক ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যকে ছাড়িয়ে গেছে। তবু প্রাপ্য টাকা বন্ধ কেন-এই প্রশ্নও ওঠে বৈঠকে।
২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলার প্রাপ্য আটকে রেখেছে কেন্দ্র। কলকাতা হাইকোর্ট ১ আগস্ট থেকে কাজ চালু করার নির্দেশ দিলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। উল্টে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। পিএসির কয়েকজন সদস্যের দাবি, এতে কার্যত হাইকোর্টকে অবমাননা করা হয়েছে।
প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে টাকা আটকে থাকায় বাংলার ১০০ দিনের কাজের বকেয়া এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকায়। কেন্দ্রের পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে রাজ্য একাধিকবার জানিয়েছে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে বাংলাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এখন দেখার, পিএসির নির্দেশ মেনে মোদী সরকার কী জবাব দেয়।