কেন ইউক্রেন আক্রমণ করলেন পুতিন?

রক্তক্ষয় হলে তার সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে ইউক্রেনকেই, ঘোষণা পুতিনের।

February 24, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি সৌজন্যে: Mint

বিশ্বকে চমকে দিয়ে বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ একটি টেলিভিশন বার্তায় ইউক্রেনে হামলার কথা ঘোষণা করে দিলেন রাশিরার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি ইউক্রেনের সেনাকে অস্ত্র ছাড়ার কথাও বলেছেন। একই সময় ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বৈঠক চলছে রাষ্ট্রপুঞ্জে। এই প্রেক্ষিতে দেখে নেওয়া যাক, এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ১০টি প্রধান কারণ।

১। ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় ইউক্রেনে যুদ্ধ ঘোষণা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের।
২। ইউক্রেনের সেনাকে অস্ত্র ছাড়ার আবেদন রুশ প্রেসিডেন্টের।
৩। রক্তক্ষয় হলে তার সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে ইউক্রেনকেই, ঘোষণা পুতিনের।
৪। রাষ্ট্রপুঞ্জের জরুরি অধিবেশনে ইউক্রেনের প্রতিনিধি বললেন, ‘‘এখন অস্ত্র সংবরণের কথা বলার সময় পেরিয়ে গিয়েছে। আমার দেশে রাশিয়ার হামলা শুরু হয়ে গিয়েছে।’’

৫। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে সরাসরি বাহিনী প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। জরুরি অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট পুতিন আপনাকে অনুরোধ, দয়া করে আপনার বাহিনীকে আটকান। সেনা ফিরিয়ে নিন। দয়া করে শান্তি বজায় রাখুন।’’
৬। রাশিয়ার হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। বললেন, ‘‘বিনা প্ররোচনায় এবং সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ভাবে এই হামলা চালানোর সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে রাশিয়াকে। এর পরিণতি রাশিয়ার জন্য ভয়ঙ্কর হবে।’’
৭। কিভের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর বরিস্পিলে গুলি চালানোর আওয়াজ পাওয়া গিয়েছে। দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকেও একই খবর আসছে, বলে জানিয়েছে একাধিক সংবাদ সংস্থা।

৮। স্থানীয় সময় মধ্যরাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতায় রাশিয়ার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিকদের আসন্ন যুদ্ধের বিরুদ্ধে স্বর তোলার আবেদন জানান।
৯। ২৪ ঘণ্টা আগে রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল আমেরিকা ও ইউরোপ। কিন্তু তাতেও মস্কোকে সেনা অভিযান থেকে নিরস্ত করা গেল না।
১০। ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে রকেট হানা শুরু হতে পারে যে কোনও মুহূর্তে, জানাচ্ছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen