Trump Tariffs: মার্কিন বাজারে বিক্রি আটকে গেলে ভারতে কি সস্তা হবে এই সব পণ্য?
বড় সংস্থাগুলি কিছুটা সময় নিয়ে নতুন রপ্তানির পথ খুঁজে বের করতে পারবে। কিন্তু কম পুঁজির রপ্তানিকারকদের জন্য এই পরিস্থিতি হয়ে উঠতে পারে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:৩৬: ভারতের রপ্তানিতে নয়া চ্যালেঞ্জ। বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক। ব্রাজিলের পর ভারতই একমাত্র দেশ, যার উপর এতটা কড়া শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের তুলনায় ভারতীয় পণ্যে শুল্কহার এখন বহুগুণ বেশি, ফলে চাপে রপ্তানি ক্ষেত্র।
সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেতে চলেছে চিংড়ি, রত্ন-গহনা, বস্ত্র এবং গালিচা শিল্প। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষে মার্কিন বাজারে ভারতের চিংড়ি রপ্তানি হয়েছিল প্রায় ২৪০ কোটি ডলার, মোট রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশ। এবার সেই বাজারেই দাম আকাশছোঁয়া হবে।
রত্ন ও গহনাতেও মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। আগে শুল্ক ছিল মাত্র ২.১%, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৫২.১%। একই ছবি বস্ত্রখাতেও। এক বছরে আমেরিকায় গিয়েছে ভারতের ১০০০ কোটি ডলারের বেশি বস্ত্র, যা মোট রপ্তানির প্রায় ৩৫%। আগে শুল্ক ছিল ১৩.৯%, এখন দাঁড়াল ৬৩.৯%। গালিচার ক্ষেত্রেও শুল্ক বেড়ে গিয়েছে ২.৯% থেকে ৫২.৯%।
ফলে মার্কিন বাজারে ভারতীয় পণ্যের দাম বাড়া নিশ্চিত। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, তুলনায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশের কম শুল্কহার আমদানিকারকদের সেই দিকেই টেনে নিতে পারে। এতে ভারতের অংশীদারি বড় ধাক্কা খেতে পারে।
তবে প্রশ্ন উঠছে, মার্কিন বাজারে বিক্রি না হলে এই পণ্য কি দেশে সস্তা হবে? অর্থনীতিবিদদের মতে, সমীকরণ এত সহজ নয়। রপ্তানির জন্য তৈরি পণ্যের গুণমান ও উৎপাদন খরচ দেশীয় বাজারের জন্য আলাদা। ফলে সস্তায় বিক্রি করলেও রপ্তানির মতো লাভ হবে না। বরং এখন রপ্তানিকারকদের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিকল্প বাজার খোঁজা।
বড় সংস্থাগুলি কিছুটা সময় নিয়ে নতুন রপ্তানির পথ খুঁজে বের করতে পারবে। কিন্তু কম পুঁজির রপ্তানিকারকদের জন্য এই পরিস্থিতি হয়ে উঠতে পারে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।