ইনিউমারেশন ফর্ম না-পূরণ করলেই নাম বাদ? জেনে নিন উপায়

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:০০: চলছে SIR-র কাজ। ইনিউমারেশন ফর্ম পূরণ করে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা করতে হবে, বিজ্ঞপ্তির সময় জানিয়েছিল কমিশন। কিন্তু কোনও কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইনিউমারেশন ফর্ম জমা না-করতে পারলে কী হবে? ভোটার তালিকায় নাম তোলার সুযোগ থাকছে তখনও। তা স্পষ্ট করে জানিয়েছে কমিশন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর নাম তোলার জন্য নতুন করে আবেদন জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে। কমিশন সূত্রে খবর, নির্ধারিত সময়ে ফর্ম জমা দিতে না-পারা সংশ্লিষ্ট ভোটারের নাম যদি শেষ SIR, অর্থাৎ ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে তিনি একই নম্বরের এপিক পাবেন। SIR-র দ্বিতীয় পর্বে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
কমিশন জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়, অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ইনিউমারেশন ফর্ম জমা না করতে পারলে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ৯ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট ভোটার তালিকায় নাম তোলার সুযোগ পাবেন। ভোটারকে ৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ভোটারকে একটি ডিক্লারেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে। ডিক্লারেশন ফর্মে বিশেষ সুবিধা পাবেন শেষ SIR অর্থাৎ ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকা ভোটাররা। ফর্মে প্রথমে আবেদনকারীকে তাঁর নাম, ফোন নম্বর, বাবার নাম, মায়ের নাম ও উভয়ের এপিক নম্বর উল্লেখ করতে হবে। বিশেষ এক কলামে ২০০২ সালের ভোটার তালিকার তথ্য জানানোর সুযোগ পাবেন আবেদনকারী। আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সে সুযোগ।
এছাড়া ইনিউমারেশন ফর্মের মতো ডিক্লারেশন ফর্মেও সংশ্লিষ্ট ভোটার ২০০২ সালের তালিকায় থাকা এপিক নম্বর, আত্মীয়ের নাম এবং আত্মীয়ের এপিক নম্বর উল্লেখ করতে পারবেন। তা করলেই আগের এপিক নম্বরে মিলবে ভোটার কার্ড। যদিও ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকলে তবেই মিলবে এই সুবিধা। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম থাকবে না, বা যাঁরা সেই তথ্য উল্লেখ করবেন না, তাঁরা নতুন ভোটার হিসাবে গণ্য হবেন। সেক্ষেত্রে নতুন নম্বরের এপিক মিলবে।
বিহার SIR থেকে শিক্ষা নিয়ে এই পদক্ষেপ করেছে কমিশন। বিহারে ইনিউমারেশন পর্বে নথি দেখানো বাধ্যতামূলক ছিল। তা না দেখাতে পারলে সংশ্লিষ্ট ভোটারের নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। খসড়া পর্বে নাম তোলার সুযোগ থাকলেও ডিক্লারেশন ফর্মে শেষ SIR-র তথ্য জানানোর সুযোগ ছিল না।