আম্পান অনেক বড় বিপর্যয়, অধৈর্য্য হবেন না প্লিজ: মমতা

May 23, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

আম্পানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড শহর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। তিনদিন ধরে বিদ্যুত্‍ নেই, জল নেই। গাছ উপড়ে কোথাও বাড়িতে বা রাস্তায় পড়ে গিয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে রয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। ধবংসের ছবি সর্বত্র। সেগুলি সরানো হয়নি এখনও। সব দিক সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পুরসভার কর্মীরা।

শহরের পাশাপাশি জেলার ছবিটাও এক। হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, নদিয়ায় এখনও বিদ্যুত্‍-বিহীন। জলের জন্য চলছে হাহাকার। বিক্ষোভের পাশাপাশি শহরের অনেক জায়গায় দেখা গিয়েছে একটু উল্টো চিত্রও। পুরসভার লোকের অপেক্ষায় না থেকে এলাকায় পড়ে যাওয়া গাছ কাটার কাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রাই।

জল ও বিদ্যুতের দাবিতে কলকাতার অনেকাংশে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মানুষজন। বেহালা, বাঁশদ্রোণী, কুঁদঘাট, নেতাজিনগর, গড়িয়া, সোনারপুর, কামালগাজি, হাওড়ার বিস্তৃণ এলাকায় বিদ্যুত্‍ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

এদিন আম্পানে বিধ্বস্ত কাকদ্বীপ রওনা হওয়ার জন্য বেহালা থেকে হেলিপ্যাডে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেইসময় তারাতলায় বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীরা। মুখ্যমন্ত্রীর গাডি় আসতেই ফেটে পড়েন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে গাড়ি থেকে নেমে যান তিনি। তিনি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিক্ষোভ করবেন না প্লিজ। অন্য কোথাও বিক্ষোভ হয় না। এখন লকডাউনের জন্য লোক অনেক কম।একটু সময় লাগবে।’ প্রসঙ্গত, বেহালা ছাড়া বিক্ষোভ চলছে যাদবপুর, গড়িয়া, বাঁশদ্রোণীতে।

সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, ‘সিইএসসি-র আমার বার বার কথা হয়েছে। ওরা বলছে ওদেরও লোক কম। প্লিজ কারওর কথা শুনে বিক্ষোভ করবেন না। ববি তিনদিন ঘুমায়নি। আমরাও তাই। আমি পাড়ার ছেলেদের বলব আপনারাও হাত লাগান।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen