১০/১১ দিল্লি বিস্ফোরণ : জঙ্গিদের নেটওয়ার্কে ৩২টি গাড়ি! খোঁজ মিলেছে ৪টির

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:০৫: দিল্লি বিস্ফোরণ তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে সন্ত্রাসের গভীর জাল। তদন্তকারীরা এবার খুঁজে পেয়েছেন এক ভয়ঙ্কর গাড়ি নেটওয়ার্কের সূত্র। জানা গেছে, বিস্ফোরণে যুক্ত জঙ্গি মডিউলটি অন্তত ৩২টি গাড়ি ব্যবহার করেছিল। এই গাড়িগুলি বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্যই ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল। তালিকায় রয়েছে মারুতি ব্রেজা, সুইফট ডিজায়ার, ফোর্ড ইকোস্পোর্ট ও হুন্ডাই আই ২০-সহ একাধিক গাড়ি। এর মধ্যে কয়েকটি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হুন্ডাই আই ২০-ই ছিল ওই ৩২টির মধ্যে একটি। এখন পর্যন্ত চারটি গাড়ির হদিশ মিলেছে, তবে বাকি গাড়িগুলির সন্ধানে চলছে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, এই গাড়িগুলির বেশিরভাগই পুরোনো এবং একাধিকবার হাতবদল হয়েছে। ফলে বর্তমান মালিকদের শনাক্ত করতে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তদন্তকারীদের।
উদ্ধার হওয়া চারটি গাড়ির মধ্যে রয়েছে মারুতি ব্রেজা, যা হরিয়ানার (Hariyana) ফরিদাবাদের আব-ফালাহ মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাস (Ab-Falah Medical College campus, Faridabad) থেকে পাওয়া গেছে। ওই কলেজের সঙ্গেই যুক্ত চিকিৎসকদের নিয়ে গড়ে উঠেছিল এই জঙ্গি মডিউলটি। একই জেলায় উদ্ধার হয়েছে ফোর্ড ইকোস্পোর্ট গাড়িটিও, যার দিল্লির রেজিস্ট্রেশন নম্বর রয়েছে। গাড়ির ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। সুইফট ডিজায়ার গাড়িটিকে সোমবার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, সেখান থেকেই উদ্ধার হয় অ্যাসল্ট রাইফেল ও বিস্ফোরক। আর বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হুন্ডাই আই ২০ গাড়িটির চালক ছিল উমর মহম্মদ। তদন্তকারীদের অনুমান, এই গাড়িতে হাই-গ্রেড এক্সপ্লোসিভ ও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ফুয়েল অয়েল ব্যবহার করা হয়েছিল।
এখনও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, বাকি গাড়িগুলি কোথায় এবং কীভাবে এতগুলো গাড়ি একত্র করা হয়েছিল। জঙ্গি মডিউলের অন্যান্য সদস্যদের চিহ্নিত করতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে।