Operation Sindoor-র সময় সেনাদের তৃষ্ণা মিটিয়ে পুরস্কৃত ১০ বছরের নির্ভীক শ্রবণ সিং
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:৩৬: বয়স মাত্র ১০। কাঁধে স্কুলের ব্যাগ থাকার কথা থাকলেও, পরিস্থিতির দাবিতে তার হাতে উঠে এসেছিল জওয়ানদের সেবার ভার। ভারত-পাক সীমান্তে সংঘাত চলাকালীন অকুতোভয় চিত্তে ভারতীয় সেনার পাশে দাঁড়িয়েছিল পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া শ্রবণ সিং (Shravan Singh)। সেই অসামান্য দেশপ্রেম ও সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ তার হাতে উঠল ‘প্রধানমন্ত্রী বাল পুরস্কার ২০২৬’। ভারতীয় সেনার সর্বকনিষ্ঠ ‘সিভিল ওয়ারিয়র’ হিসেবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) হাত থেকে এই সম্মান গ্রহণ করল শ্রবণ।
ঘটনার প্রেক্ষাপট ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলাকালীন সময়। পাঞ্জাবের ভারত-পাক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে তখন যুদ্ধের টানটান উত্তেজনা। মোতায়েন ছিলেন অসংখ্য সেনা জওয়ান। গোলাগুলির শব্দ আর ভয়ংকর পরিস্থিতির পরোয়া না করেই ছোট্ট শ্রবণ নিয়মিত পৌঁছে যেত জওয়ানদের কাছে। তপ্ত রোদে কর্তব্যরত জওয়ানদের সে নিয়মিত জুগিয়েছে জল, চা, দুধ, লস্যি এবং বরফ। শুধু রসদ পৌঁছে দেওয়াই নয়, নিজের ছোট্ট সামর্থ্য দিয়ে সে জওয়ানদের প্রস্তাব দিয়েছিল প্রয়োজনে তার বাড়িতে থাকার। বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে এক শিশুর এমন আন্তরিক প্রস্তাব ও দেশপ্রেম স্পর্শ করেছিল জওয়ানদের হৃদয়।
শ্রবণের এই কর্মকাণ্ড নজরে আসার পরই সেনার শীর্ষকর্তারা তাকে কুর্নিশ জানান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে যে, এই নির্ভীক বালকের শিক্ষার যাবতীয় দায়িত্ব বহন করবে তারা। যাতে অর্থের অভাবে শ্রবণের স্বপ্নপূরণে কোনও বাধা না আসে।
দেশের সর্বোচ্চ শিশু সম্মান পেয়ে যারপরনাই খুশি শ্রবণ। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার পর শ্রবণ জানায়, “আমি ভালোবেসেই দেশের সেনাকে সাহায্য করতাম। ওরা আমায় অনেক আদর করেছে, আমরা একসঙ্গে বসে খাবার খেয়েছি, আইসক্রিম খেয়েছি। আমি নিজেও বড় হয়ে সৈনিক হয়ে দেশের সেবা করতে চাই।”
ছেলের এই অনন্য সাফল্যে আবেগপ্লুত শ্রবণের বাবা সোনা সিং। তিনি বলেন, “আমার ছেলে প্রথম দিন থেকেই সেনা জওয়ানদের সেবা করে আনন্দ পেত। জল-খাবার নিয়ে ও যখন সীমান্তে যেত, আমরা গর্বিত হতাম। ওর জীবনের একটাই স্বপ্ন- বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া।”