প্রাচীন এক্তেশ্বর শিবের গাজন মেলা, জেনে নিন কোথায়? 

এখন চৈত্র মাস, গাজনের সময়।

April 13, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এখন চৈত্র মাস, গাজনের সময়। এই মাসে বাংলাজুড়ে শিবকে ঘিরে নানান আচার অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনেকেই মনে করেন, গাজন শব্দের উৎপত্তি গর্জন থেকে। শিবের নামে সন্ন্যাসীরা উচ্চস্বরে জয়ধ্বনি দেন, যা গর্জনের মতো শোনায়। তা থেকেই গাজনের জন্ম। রাঢ় বাংলার অন্যতম প্রধান উৎসব গাজন। গাজনকে কেন্দ্র করে বাঁকুড়া জেলায় নানা অনুষ্ঠান, উৎসব হয়। মেলা বসে। এমনই একটি উৎসব হল এক্তেশ্বরের মেলা। এক্তেশ্বর হলেন শিব। শিব মন্দিরটির বয়স আনুমানিক হাজার বছরেরও বেশি প্রাচীন। দ্বারকেশ্বর নদীর তীরে মন্দিরটি অবস্থিত। পাথর নির্মিত মন্দিরটি বাংলার স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন। ফুটদুয়েক উচ্চতা বিশিষ্ট পাথরের মূর্তিটিকে শিবজ্ঞানে পুজো করা হয়। মূর্তিটি প্রথাগত যোনিবিদ্ধ লিঙ্গ মূর্তি নয়। মন্দির চত্বরে আরও ২-৩টি ছোট মন্দির রয়েছে।

গাজন মেলা ছবি সৌজন্যেঃ ব্লগার অভিরূপ চৌধুরী
গাজন সন্ন্যাসীদের ভক্তা বলা হয়। ছবি সৌজন্যেঃ ব্লগার অভিরূপ চৌধুরী
গাজন মেলা ছবি সৌজন্যেঃ ব্লগার অভিরূপ চৌধুরী
গাজন মেলায় কচিকাচারা ছবি সৌজন্যেঃ ব্লগার অভিরূপ চৌধুরী

গাজন সন্ন্যাসীদের ভক্তা বলা হয়। মূলত হাঁড়ি, বাগদি, ডোম, আদিবাসীরাই এতে বেশি অংশগ্রহণ করেন। চৈত্র সংক্রান্তির আগের রাত থেকে শুরু হয়ে সংক্রান্তির সকাল পর্যন্ত চলে গাজন উৎসব। গাজনের তিন দিন আগে পাটস্নান প্রথার প্রচলন রয়েছে। অসংখ্য গজালবিদ্ধ কাঠের পাটা পুজো করা হয়। কাঁটা ঝাঁপ, চড়ক গাছ, বাণ ফোঁড়া, আগুন ঝাঁপ ইত্যাদি প্রথা এখন প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

গাজন মেলা। ছবি সৌজন্যেঃ নিউজ ১৮ বাংলা

মন্দির সংলগ্ন মাঠে মেলা বসে। খাঁটি গ্রাম্য মেলা যেমন হয়, ঠিক তেমনই। চটজলদি খাবার, মণিহারি দোকান, নাগরদোলার পাশাপাশি থাকে তেলেভাজা, জিলিপির দোকান, বেতের জিনিসও বিক্রি হয়। পাখি বিক্রিও চলে। গাজনের মেলা ছাড়াও এক্তেশ্বরে, আরও দুটি মেলা বসে। শিবরাত্রি ও পৌষ সংক্রান্তিতে উপলক্ষ্যে মেলা বসে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen