কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার হেফাজত থেকেই লোপাট ১০৩ কেজি সোনা! বিপাকে সিবিআই

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যা নিজেদের জন্য অসম্মানজনক বলে মনে করছে সিবিআই।

December 12, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে সম্ভবত এ হেন লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে আগে পড়তে হয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে (CBI)। এবার তাদের হেফাজত থেকেই বেমালুম উধাও হয়ে গেল এক কুইন্টালেরও বেশি বাজেয়াপ্তো সোনা। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৩-৪৫ কোটি টাকা। গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে এসেছে মাদ্রাজ হাই কোর্টের নির্দেশ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যা নিজেদের জন্য অসম্মানজনক বলে মনে করছে সিবিআই।

গত কয়েক বছরে এই বিপুল পরিমাণ সোনা (Gold) নিয়ে প্রচুর মামলা-মোকদ্দমা হয়েছে। কিন্তু আদৌ তা ঠিক আছে কিনা, খতিয়ে দেখার প্রয়োজন কেউই বোধ করেনি। শেষমেশ গতবছর ডিসেম্বর মাসে ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল ওই সোনা সুরানা কর্পোরেশনের ঋণ শোধ করার জন্য এসবিআই-সহ ছটি ব্যাংকের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ব্যাংক আধিকারিকদের সামনে ওই সোনা খুলতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ হয় সিবিআই কর্তাদের। দেখা যায়, প্রায় ১০৩ কেজি সোনা কম।

২০১২ সালে সুরানা কর্পোরেশন নামের চেন্নাইয়ের এক সংস্থা থেকে ওই সোনা বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। সংস্থাটি বিদেশ থেকে সোনা-রুপা আমদানি করত। এদের বিরুদ্ধে ৮ বছর আগে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে প্রচুর অলঙ্কার আমদানির অভিযোগ ওঠে। সংস্থার মোট ৪০০ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। যা কিনা সংস্থারই বিভিন্ন ভল্টে রাখা হয়েছিল। এই চারশো কেজি সোনা, গয়না এবং সোনার বার আকারে ছিল। সেসময় সিবিআই দাবি করে, ওই বিপুল পরিমাণ সোনা তাদের নিরাপদ হেফাজতে আছে। এবং যে ভল্টগুলিতে গয়নাগুলি রাখা হয়েছে, সেগুলির চাবি চেন্নাইয়ের সিবিআইয়ের এক বিশেষ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। যদিও, ঠিক কবে সেই চাবি সিবিআই আদালতে জমা দেওয়া হয়, তা জানাতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen