130th Constitution Amendment Bill: ‘Black Bill’-র প্রতিবাদে সংসদীয় যৌথ কমিটিতে থাকবে না তৃণমূল?
জেলবন্দি মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধিদের অপসারণের জন্য বিল এনেছে মোদী সরকার, সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে এই বিল ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:২২: জেলবন্দি মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধিদের অপসারণের জন্য বিল এনেছে মোদী সরকার, সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে এই বিল ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিলকে ‘Black Bill’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর দলের সাংসদেরা এই সংশোধনীর বিরুদ্ধে জোরালোভাবে সরব হয়েছে। বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিলের (130th Constitution Amendment Bill) বিরোধিতায় লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় সূত্র মারফত খবর, সংবিধান সংশোধনী বিল-সহ সর্বমোট যে তিনটি বিল আনা হয়েছে, তা নিয়ে সংসদীয় যৌথ কমিটিতে (JPC) আপাতত কোনও প্রতিনিধি রাখবে না বলেই ঠিক করেছে তৃণমূল। অধিবেশন শেষে প্রথা মতো রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশের ডাকা চা-চক্রেও যোগ দেয়নি তৃণমূল।
তৃণমূলের বক্তব্য, এই বিল কোনওদিনই পাস হবে না। তা নিয়ে তাই আলোচনারও প্রয়োজন নেই। সাংসদদের অনেক কাজ থাকে, তাঁদের সময় নষ্ট করার কোনও মানে হয় না। যদি কোনওভাবে বিল পাসও করিয়ে নেয়, সুপ্রিম কোর্ট এটাকে আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেবে। সূত্রের খবর, সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে কংগ্রেসের সুর নরম থাকায় অসন্তুষ্ট তৃণমূল।
রাজ্যসভায় অমিত শাহ সংবিধান সংশোধনী বিল সহ বাকি দু’টি বিলকে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব পেশ করতে উদ্যত হতেই স্লোগান দিতে দিতে ওয়েলে নেমে পড়েন তৃণমূল সাংসদরা। ট্রেজারি বেঞ্চের সামনে গিয়ে বিলের কপি ছিঁড়ে উড়িয়েও দেন তাঁরা। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, “ওরা ওয়েলে মার্শাল নামিয়েছিল, আমাদের বলেছিল কেউ ওয়েলে না নামলে মার্শাল নামবে না। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ডিল করে না। তাই আমরা নেমেছি, আমি নিজেও আজ ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করেছি।”
এদিন রাজ্যসভা চলাকালীন গোটা সময় মিনিট ধরে নাগাড়ে শাহর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে লক্ষ্য করে ‘তড়িপার, দূর হটো’ পোস্টার হাতে ওয়েলে নেমে ‘অমিত শাহ গো-ব্যাক’ স্লোগানও দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। হট্টগোলের মধ্যে ধ্বনিভোটে উচ্চকক্ষে অনলাইন গেমিং বিল পাস করিয়ে নেয় সরকার পক্ষ। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যসভার অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি হয়ে যায়।