আইএসএলের ভবিষ্যত নির্ধারণে ১৫ বছরের টেন্ডার, ক্লাবদের চিঠি জোরালো প্রভাব ফেলল

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১৫:৪০: দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) ভারতীয় সুপার লিগের (ISL) বাণিজ্যিক অধিকার সংক্রান্ত রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল (RFP) প্রকাশ করেছে। এই ১৫ বছরের চুক্তি ভারতীয় ফুটবলের শীর্ষ স্তরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে, যেখানে স্পনসরশিপ, সম্প্রচার ও ডিজিটাল মনিটাইজেশনসহ সব দিক অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এই ঘোষণার সময় নির্বাচন বিশেষভাবে নজর কাড়েছে। কারণ, ঠিক এক দিন আগে ১০টি ISL ক্লাব যৌথভাবে AIFF সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে চিঠি লিখে বিলম্বিত টেন্ডার প্রক্রিয়ার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। ক্লাবগুলো AIFF-এর “স্বচ্ছতার অভাব” নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। স্পষ্টতই সেই চিঠি AIFF-এর জন্য সক্রিয় পদক্ষেপের ট্রিগার হয়ে উঠেছে।
টেন্ডারের দীর্ঘ বিলম্ব ইতিমধ্যেই ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট ১৫ অক্টোবরের মধ্যে টেন্ডার সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু সেই সময়সীমা পেরোনোর পরও কোনো আপডেট আসেনি। লিগের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত থাকায় জাতীয় দল এবং উন্নয়নমূলক প্রোগ্রামগুলোও প্রভাবিত হয়েছে।
ক্লাবগুলো সুপার কাপ (২৫ অক্টোবর–২২ নভেম্বর, গোয়া) প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তারা খেলোয়াড় চুক্তি চূড়ান্ত করেছে, ভেন্যু নির্ধারণ করেছে এবং স্টাফ নিয়োগ করেছে। কিন্তু লিগের বাণিজ্যিক রোডম্যাপ, রাজস্ব ভাগাভাগি ও স্পনসরশিপ অধিকার নিয়ে অনিশ্চয়তা তাদের পরিকল্পনায় ধাক্কা দেয়।
*নতুন টেন্ডারের মূল ফিচার*
* ১৫ বছরের অংশীদারিত্ব, স্পনসরশিপ, সম্প্রচার, ডিজিটাল ও মার্চেন্ডাইজিং অন্তর্ভুক্ত।
ন্যূনতম গ্যারান্টি: বছরে ৩৭.৫ কোটি টাকা বা মোট রাজস্বের ৫% (যা বেশি হবে)।
যোগ্যতা: বিডারদের নেট ওয়ার্থ কমপক্ষে ২৫০ কোটি টাকা।
সময়সীমা: প্রশ্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২১ অক্টোবর, বিড জমা ৫ নভেম্বর।
পর্যবেক্ষণ: KPMG India।
প্রমোশন ও রিলিগেশন: ২০২৫–২৬ মৌসুম থেকে কার্যকর।
স্যালারি ক্যাপ: প্রতি ক্লাব ১৮ কোটি টাকা।
গ্রাসরুট ইনভেস্টমেন্ট: প্রথম পাঁচ বছরে ২.৫%, পরে ৫%।
ক্লাবগুলোর চিঠি প্রকাশের এক দিনের মধ্যে টেন্ডার ঘোষণা হওয়ায় বোঝা যায় এটি কতটা প্রভাবশালী ছিল। মুম্বাই সিটি, কেরালা ব্লাস্টার্স, বেঙ্গালুরু FC, FC গোয়া, চেন্নাইয়িন, হায়দ্রাবাদ সহ অন্যান্য ক্লাব এই চিঠিতে AIFF-এর বিলম্বিত সিদ্ধান্তের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।
এখন টেন্ডার প্রকাশ হওয়ায় অবিলম্বে সংকট কিছুটা কমেছে। তবে আসল চ্যালেঞ্জ হলো, এই প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ ও কার্যকরভাবে সম্পন্ন হয়। ভারতীয় ফুটবলের দ্রুত সমাধানের ইতিহাস বিবেচনা করলে, এটিকে কেবল সময় কিনে নেওয়া হিসেবে না দেখা ভালো।