বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

বাঙালির ‘বোরোলিন’ শতাব্দী পেরিয়েও টক্কর দিচ্ছে বিদেশী ব্র্যান্ডকে

January 3, 2020 | < 1 min read

“সুরভিত অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম বোরোলিন”

রেডিও এবং টিভিতে এই লাইনটা আমরা বড় হয়েছি, বাঙালির অন্যতম আপন অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম, ঋতুপর্ণ ঘোষ যাকে বলেছিল ‘বঙ্গ জীবনের অঙ্গ’। এই সুর ধরেই প্রতি বাঙালির ঘরের অন্দরমহলে পৌঁছে গেছিল বোরোলিন।

ত্বকের যেকোনো সমস্যা, কাটা, ঘা, পোড়া, শুকনো ত্বক সব কিছুর উপশম বোরোলিন। শুধু প্রসাধন সামগ্রী নয়। এই ক্রিম স্বনির্ভরতার আইকন। প্রায় ৯০ বছর আগে ১৯২৯ সালে জিডি ফার্মাসিউটিকালস কোম্পানি এই ক্রিম প্রথম নিয়ে আসে। সবুজ টিউবে এই ক্রিম প্রথম বাজারে আসে সেরম কোনও বিজ্ঞাপন ছাড়া। এটি ঔষধ ছাড়াও ব্রিটিশদের এক চরম জবাব ছিল ব্রিটিশ দ্রব্যের বিরুদ্ধে।

অনেক সময় অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আজকের এই বাজারেও সমস্ত কোম্পানির সঙ্গে টক্কর দিয়ে চলেছে। ঠাকুমা, মা থেকে শুরু করে চরম সচেতন আজকের প্রজন্মও ত্বকের সমস্যার জন্য এই ক্রিমেই ভরসা রাখে। এর ফলেই বাঙালির সংস্কৃতিতে জড়িয়ে আছে এই বোরোলিন।

এই ক্রিম হল স্বদেশী দ্রব্যের এক অন্যতম আইকন। দেশে তৈরী এই ক্রিম ভারতের জাতীয়তাবাদের এক প্রতীকও বটে। এই ক্রিমের ফর্মুলাও গোপনীয় কিছু না। বোরিক অ্যাসিড, জিঙ্ক অক্সাইড, প্যারাফিন, আতর এবং প্রয়োজনীয় তেল দিয়ে তৈরী এটি। ফর্মুলা জানা সত্ত্বেও কোনও বিদেশী কোম্পানি এর জনপ্রিয়তা কমাতে পারেনি। ১৫ই আগস্ট ১৯৪৭-এ এই কোম্পানি প্রায় ১ লক্ষ ক্রিম বিতরণ করেছিল স্বাধীনতা উজ্জাপন করতে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে প্যাকেজিং। কিন্তু সবসময় এই কোম্পানি নজর রাখে গুণমান বজায় রাখতে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Antiseptic Cream, #India, #Boroline

আরো দেখুন