বাঙালি বিজ্ঞানী আবিষ্কার করলেন ক্যান্সার নির্ণয় যন্ত্র
প্রযুক্তি আমাদের গবেষণার এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে যা এতদিন অধরা ছিল। বাংলাদেশের শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপিকা ইয়াসমিন হকের নেতৃত্বাধীন দল আবিষ্কার করেছে এমন এক পদ্ধতি যা প্রাথমিক স্টোরে কর্কট রোগ নির্ণয় করতে পারবে। এর নাম নন-লিনিয়ার অপ্টিক্স।
এই স্বল্প খরচের পদ্ধতিতে প্রয়োজন শুধু রক্তের নমুনা, যা লেজার বিম দিয়ে পরীক্ষা করলে বোঝা যাবে রোগীর ক্যান্সার আছে কিনা। এই পরীক্ষায় লাগে মাত্র পাঁচ মিনিট। খরচ পড়ে ৫০০ বাংলাদেশী টাকাযার জন্য এতদিন সাধারণ মানুষকে হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হত। এই সস্তার রোগ নির্ণয় পদ্ধতির ফলে উপকৃত হবেন সমাজের আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষরা।
নন-লিনিয়ার অপ্টিক্স সিরিয়াস লাইটের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এই নন-ইনভেসিভ পদ্ধতিতে ক্যান্সার নির্ণয় তাড়াতাড়ি হয়। এই গবেষক দল বাংলাদেশ ও আমেরিকায় পেটেন্টের জন্য আবেদন জানিয়েছে। এবং এই যন্ত্রকে লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বেশীরভাগ সময়ে ক্যান্সার নির্ণয় হয় শেষ পর্যায়ে। সেই পর্যায়ে নির্ণীত হলে রোগীর বাঁচার আশা কম থাকে। এছাড়া প্রচলিত ক্যান্সার নির্ণয় করার যন্ত্রগুলি সবসময় নির্ভুল হয় না এবং অনেক সময় লাগে। এতে খরচও হয় অনেক। তাই এসব দিক বিবেচনা করে আশায় বুক বাঁধছে সবাই।